একটি মানহানি মামলায় অভিযুক্ত দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ আদালত পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি এসিজেএমের আদালত থেকে সিজেএমের আদালতে সরিয়ে দেওয়া হয়। আজ সিজেএম আদালত মামলার শুনানি করে পুনরায় তথ্যপ্রমাণ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিধায়ক তথা প্রক্তান মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদের বিরুদ্ধে জনৈক রেজাউল করিমকে মারধরের মামলাটি চলছিল করিমগঞ্জের এসিজেএমের আদালতে। আদালতে হাজির না থাকায় বিধায়ককে জেলে থাকতে হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বিধায়ক সাংবাদিক বৈঠক করে রেজাউলের সঙ্গে মিজোরামের দুষ্কৃতীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রেজাউল নাকি এক সময় তাঁকে একটি পিস্তল উপহার দিতে চেয়েছিলেন। বিধায়কের এ হেন বক্তব্যের পর রেজাউল করিমগঞ্জের আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এসিজেএম শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমান বিধায়ককে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন।
এর পরেই সিদ্দেক মামলাটি এসিজেএম আদালত থেকে সরানোর আবেদন করেন। জেলা দায়রা আদালত সেই মামলাটি সিজেএমের আদালতে পাঠিয়ে দেয়। আজ মানহানির মামলায় হাজিরা দেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত পুনরায় তথ্যপ্রমাণ-সহ মামলা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিধায়কের আইনজীবী রশিদ আহমদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান।