প্রতীকী ছবি।
সুবর্ণজয়ন্তী বছরে ৫০ লক্ষ টাকার পুজো। তৈরি হচ্ছে কাচের মণ্ডপ, ভুট্টার প্রতিমা। থাকবে চন্দননগরের আলো। কিন্তু প্রচারে এ সবের আগে অন্য বিষয়কে তুলে ধরছেন অসমের বরাক উপত্যকার শিলচরের প্রথমপল্লি ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা।
লিফলেটে লিখে শহরে ছড়ানো হচ্ছে সেই কথা— ‘মণ্ডপের পাশে থাকবে মহিলাদের জন্য শৌচাগার’।
পুজো কমিটির প্রধান কর্মকর্তা, উপদেষ্টা পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্যান্য বছরের অভিজ্ঞতা এবং ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই এ কথা প্রচার করছি।’’ তিনি জানান, নামে ক্লাব হলেও প্রথমপল্লি আসলে পাড়ার পুজো। এলাকার মহিলারা সারাক্ষণ মণ্ডপে থাকেন। অনেক মহিলা দর্শনার্থী তাঁদের কাছে শৌচাগারের খোঁজ করেন। আশেপাশের বাড়িতে তখন তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘শৌচাগার না থাকলে মহিলাদের সমস্যায় পড়তে হয়। সে জন্যই ওই সিদ্ধান্ত।’’ সে কাজে নজরদারি করছেন পুজো কমিটির সভাপতি গোপেন্দ্র চৌধুরীর স্ত্রী অমিতা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘এ যে মহিলা দর্শনার্থীদের কত বড় স্বস্তি দেবে!’’ তাঁর আশা, আগামী বছর থেকে শিলচরের অন্যান্য পুজো কমিটিও এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবে।
পার্থবাবুর দাবি, কাঠ-কাপড়ে মণ্ডপ তৈরি প্রথমপল্লি থেকেই শিলচরে ছড়িয়েছে। আগে অন্যরা টিনের একচালা গড়ত। রঙিন কাগজে পুজোপ্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলা হতো। ১৯৮০ সালে প্রথমপল্লিই মণ্ডপ গড়ে।
সুবর্ণজয়ন্তী বছরে মহালয়ায় প্রভাতফেরি, একাদশীতে প্রতিমা বিসর্জনেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মহালয়ায় ৫০ ঢাকি বিশেষ আকর্ষণ। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় মিশবে ভাঙরা নাচ। পঞ্জাব থেকে শিল্পীরা আসছেন। সপ্তমী থেকে তাঁরা মণ্ডপের সামনে অনুষ্ঠান করবেন।