নির্বাচন হতে চলেছে হিংসাত্মক। তাই দলের সকলকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আগেভাগে করিয়ে রাখতে হবে জীবনবিমা। যাতে মারা গেলে পরিবারের হাতে টাকা আসে। কর্মিসভায় এমনটাই ঘোষণা করলেন এআইইউ়ডিএফ সাংসদ সিরাজুদ্দিন আজমল।
এআইইউ়ডিএফ দলের প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের ভাই সিরাজুদ্দিন গত রাতে নগাঁও জেলার হোজাইতে, দলের কার্যালয়ে কর্মিসভা করছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপি যে কোনও মূল্যে এআইইউ়ডিএফের জয় রুখতে চেষ্টা চালাবে। তার জন্য তারা হিংসার আশ্রয় নিতে পারে। যোগ্য জবাব দিতে দলের কর্মীদের তৈরি থাকতে হবে।’’ পরে তিনি আরও বলেন, ‘‘হানাহানিতে প্রাণ জেতে পারে। বিকলাঙ্গ হওয়ারও সম্ভাবনা। দুর্ভাগ্যবশত কেউ মারা গেলে পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা পাবে। হাত-পা বাদ গেলে মিলবে দু’লক্ষ। টাকা আমরা দেব।’’ এ ভাবে খোলাখুলি লড়াই, অঙ্গহানি, প্রাণহানির কথা বলায় আজ এআইইউ়ডিএফের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কংগ্রেস ও বিজেপি সমর্থকেরা প্রতিবাদ জানান। দু’দলের তরফেই বলা হয়েছে, এমন ধরণের কথা বলে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন সিরাজুদ্দিন। তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানায় কংগ্রেস ও বিজেপি।
এআইইউডিএফের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সিরাজুদ্দিন দলের কর্মীদের ‘আকস্মিক দুর্ঘটনা বিমা’ করতে বলেছিলেন। ওই বিমার শর্ত অনুযায়ী, কোনও দলীয় কর্মী ৭১৬ টাকার প্রিমিয়াম জমা দিলে নির্বাচনী হিংসায় তাঁর মৃত্যুর পরে পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পায়। অঙ্গহানি হলে মেলে দু’লক্ষ টাকা। বিমা কোম্পানি ওই টাকা দেবে। বিমা কোম্পানিগুলি ‘আইআরডিএ’ ও নির্বাচন কমিশনের নীতি-নির্দেশনা মেনেই এই বিমা প্রকল্প চালু করেছে। তাই এই বিমার কথা ঘোষণা করলে নির্বাচনবিধি ভঙ্গের প্রশ্ন ওঠে না। দলের দাবি, সিরাজুদ্দিন বলেছিলেন, যে সব কর্মীর ওই ৭১৬ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের প্রিমিয়ামের টাকা তিনি নিজে দিয়ে দেবেন। সিরাজুদ্দিন নিজে আজ বলেন, ‘‘দলের কর্মীদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলে এবং সকলকে বিমা করাতে পরামর্শ দিয়ে আমি আমার সামাজিক কর্তব্যই পালন করেছি।’’