ইয়েচুরির গলায় মনমোহনী সুর

বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে সিপিএমের পলিটব্যুরো কংগ্রেসের হাত ধরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। সেই পলিটব্যুরোরই শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেসের নাম না করে বিজেপিকে রুখতে একসঙ্গে লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৮
Share:

বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে সিপিএমের পলিটব্যুরো কংগ্রেসের হাত ধরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। সেই পলিটব্যুরোরই শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেসের নাম না করে বিজেপিকে রুখতে একসঙ্গে লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করলেন। নরেন্দ্র মোদীর অর্থনীতিকে বিঁধতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সুরও শোনা গেল ইয়েচুরির গলায়!

Advertisement

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে শুক্রবার রাজ্য কমিটির সদস্যদের ক্লাসে ইয়েচুরি মন্তব্য করেছেন, মোদীর সরকার লুঠ ও রাহাজানিকে বৈধতার ছাড়পত্র দিয়েছে! তাতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত থেকে খেটে খাওয়া মানুষের। নোট বাতিল নিয়ে বলতে গিয়ে দিন কয়েক আগে এই কথাই বলেছিলেন মনমোহন। ইয়েচুরির আশঙ্কা, উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপি সাফল্য পেলে তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আরও কদর্য চেহারা নেবে। ওই রাজ্যে যেখানে বাম প্রার্থী নেই, সেখানে যারা বিজেপিকে হারাতে পারবে, তাকে ভোট দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে এক দিকে মোদীর দলের সাম্প্রদায়িকতা এবং অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষামোদ নীতি— দুইয়ে মিলে মেরুকরণ প্রকট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সমমনোভাবাপন্ন শক্তিকে নিয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিতর্ক নিয়ে রাজ্যসভার সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে সতর্ক করেছে সিপিএমের রাজ্য কমিটি। আনন্দবাজারে এ দিনের প্রতিবেদনে ওই শাস্তিকে ‘ভর্ৎসনা’ বলা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, সতর্ক করাটা শাস্তির প্রথম ধাপ। ভর্ৎসনা, প্রকাশ্যে নিন্দা বা সাসপেন্ড পরবর্তী ধাপে হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন