দিল্লিতে ঠাঁই রাখতেও চাই সীতাকে

টেলিফোনে নয়। পলিটব্যুরোয় মুখোমুখি বাগ্‌যুদ্ধেই সীতারাম ইয়েচুরির রাজ্যসভার মনোনয়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০৪:১০
Share:

টেলিফোনে নয়। পলিটব্যুরোয় মুখোমুখি বাগ্‌যুদ্ধেই সীতারাম ইয়েচুরির রাজ্যসভার মনোনয়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

Advertisement

বাংলা থেকে রাজ্যসভায় ইয়েচুরির নামই প্রস্তাব করে এ কে গোপালন ভবনে পাঠিয়েছে আলিমুদ্দিন। ঠিক হয়েছে, আগামী ৬-৭ জুন পলিটব্যুরো বৈঠকেই এর ফয়সালা হবে। বাংলার প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে উপস্থিত পলিটব্যুরো সদস্যদের মধ্যে আলোচনা হয়। সকলেই মত দেন, তড়িঘড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, রাজ্যসভার ভোট পিছিয়ে গিয়েছে। পলিটব্যুরোর ৬-৭ জুনের বৈঠকেই যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে, আলিমুদ্দিনের নেতাদেরও ফোনে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পলিটব্যুরোয় ইয়েচুরি শিবির মনে করছে, এতে সুবিধাই হল। কারণ কারাট শিবির ও কেরলের নেতারা আপত্তি তুলবেন, জানা কথা। সামনাসামনি বিতর্ক হলে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা তার মোকাবিলা করতে পারবেন জোরালো ভাবে। আর গত কালই নবান্ন অভিযানে বামেদের মিছিলে পুলিশের লাঠিচালনার প্রতিবাদে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আজই কারাট শিবিরের নেতারা বাংলার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চাননি।

Advertisement

পলিটব্যুরোর এক নেতা বলেন, ‘‘ইয়েচুরি ফের রাজ্যসভায় না গেলে কিছু বাস্তব সমস্যাও রয়েছে। ইয়েচুরি দু’বারের সাংসদ বলে দিল্লির ফিরোজ শাহ রোডে একটি বড় সরকারি বাংলো পান। সেখানে অনেক ক্যাডার কমিউন করে থাকেন। এমনিতেই পার্টির সাংসদ সংখ্যা কমে যাওয়ায় দিল্লিতে পার্টি ও গণসংগঠনগুলির ক্যাডারদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। অনেককে রাজ্যে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হয়েছে। ইয়েচুরির বাংলো হাতছাড়া হলে দলের সমস্যা আরও বাড়বে।’’

পলিটব্যুরো বৈঠকে এর পাশাপাশি ইয়েচুরি শিবির যুক্তি দেবে, সংসদে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বিরোধীদের ‘থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক’ হিসেবে কাজ করেন। বিশেষত, রাজ্যসভায় যখন মোদী সরকার সংখ্যালঘু। তিনি না থাকলে বিরোধীদের আক্রমণই ভোঁতা হয়ে যাবে। কারাট গোষ্ঠীর মূল আপত্তি, কংগ্রেসের সমর্থনে ইয়েচুরির যাওয়া নিয়ে। ইয়েচুরি শিবির পাল্টা যুক্তি দেবে, এই সুযোগ ছাড়লে ফের বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার সুযোগ করে দেওয়া হবে।

তাঁরা যে ইয়েচুরির পাশে, তা আজ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কেরলের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনি বলেন, ‘‘সিপিএমের বাংলার নেতারা জাতীয় স্তরে বিজেপি-র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চান। কেরলের সিপিএম নেতাদের উচিত, বিতর্ক না বাড়িয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জাতীয় স্তরে সহযোগিতার লাইন নেওয়া।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন