নেহরু ভবনে সঙ্ঘের মুখপত্রের মঞ্চে হাজির রইলেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
আরএসএসের মুখপত্র বলে পরিচিত ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ দিল্লিতে নেহরুর ভিটে তিন মূর্তি ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ মনমোহন বৈদ্যও। মোদী জমানায় ভারত প্রথম বার গোটা বিশ্বে যেভাবে নিজের পরিচিতি পেয়েছে, তা নিয়ে পরোক্ষে যেমন প্রধানমন্ত্রীর তারিফ হচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে। তেমনই তুলোধনা হচ্ছে ‘তথাকথিত’ উদারবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষদের। তুলনা হচ্ছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় আর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের। কী করে একটি হল ভারত ভাবনার গড়, অন্যটি ভারত-বিরোধী ভাবনার। যদিও নেহরুর মত ভিন্ন হলেও তিনি ভারত-বিরোধী ছিলেন না, এমন কথাও বেরিয়ে আসছে বক্তাদের মুখে। আর সেই মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির স্মৃতি। যে স্মৃতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময়ে পাঠ্যক্রমে গৈরিকীকরণের অভিযোগ উঠেছিল।
তিন মূর্তি ভবনের মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে যে বিতর্ক হতে পারে, সেটি আঁচ করেছেন স্মৃতি। তাই তিনি বলেন, দর্শক আসনে উপস্থিত অনেকেই হয়ত নেহরুর বাসভবনে সঙ্ঘের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী কী বলেন তা জানতে চান। আগে এখানে এই ধরনের অনুষ্ঠানের কথা ভাবাও যেত না, কিন্তু এখন হচ্ছে। এর পরেই মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজারকে’ সঙ্ঘের মুখপত্র বলা ঠিক নয়। এক সময়ে সঙ্ঘের বক্তব্য অন্যেরা ছাপত না। কিন্তু এরাই ছাপত। কিন্তু এরা ভিন্ন মতও ছাপে।