সিয়াচেনে সেনাদের রাখি পরাবেন স্মৃতি

সিয়াচেনের কনকনে ঠান্ডায় সীমান্তে গিয়ে জওয়ানদের হাতে রাখি পড়াবেন স্মৃতি ইরানি। মোদী সরকারের আর এক মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নড্ডা যাবেন কেশপুর। ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থানে। আর এক মন্ত্রী কলরাজ মিশ্র যাবেন নোয়াপাড়া, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটেতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০৩:২৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

সিয়াচেনের কনকনে ঠান্ডায় সীমান্তে গিয়ে জওয়ানদের হাতে রাখি পড়াবেন স্মৃতি ইরানি। মোদী সরকারের আর এক মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নড্ডা যাবেন কেশপুর। ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থানে। আর এক মন্ত্রী কলরাজ মিশ্র যাবেন নোয়াপাড়া, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটেতে।

Advertisement

দলিত, গো-রক্ষক বির্তকের মোড় ঘোরাতে কাল থেকে ১৫ দিন ধরে দেশজুড়ে জাতীয়তাবাদের হাওয়া তুলতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। আজ সন্ধেয় লোকসভায় পণ্য ও পরিষেবা কর বিলের বৈতরণি পার করে আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী নিজে যাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশে চন্দ্রশেখর আজাদের জন্মভিটেতে। কালই ভারত ছোড়ো আন্দোলনের বার্ষিকী। এ দিন থেকেই থেকেই ‘আজাদি কা ৭০ সাল, ইয়াদ করো কুরবানি’ স্লোগান পৌঁছে দিতে চাইছেন দেশের প্রতিটি প্রান্তে। তার জন্য ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্যেক মন্ত্রী, দলীয় সাংসদ, বিধায়ক ও কর্মীদের। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানান, সংসদের অধিবেশন শেষ হলে মন্ত্রিসভার ৭৫ জন সদস্যই যাবেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি জড়িয়ে থাকা স্থানগুলিতে। মহিলা মন্ত্রীরা যাবেন সীমান্তে। সাংসদরা নিজেদের কেন্দ্রে। কাল হবে প্রভাতফেরি। মোটরবাইক মিছিল হবে যুবকদের। অবশ্যই হেলমেট পরে। ১৪ অগস্ট সন্ধেয় হবে মশাল মিছিল। দূরদর্শনেও লাগাতার চলবে দেশাত্মবোধক চলচিত্র ও গান। যোগ দেবেন আশা ভোঁসলে, কুমার শানুরাও। বিরোধী দলগুলিকেও আহ্বান জানানো হয়েছে এই সব কর্মসূচিতে যোগ দিতে। গান-বাজনা- মিছিল-সমাবেশে দেশ জুড়ে হই হই করে পালন হবে স্বাধীনতার ৭০ বছর।

সামনেই উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ভোট। কিন্তু তার আগে দলিত-কাঁটা থেকে কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে মোদী। পরপর দু’দিন তাঁকে দলিত নিগ্রহ ও গো-রক্ষা নিয়ে মুখ খুলতে হয়েছে। এই অবস্থায় দেশের আলোচনা ও ভাবনার অভিমুখটা এমন দিকে তিনি ঘুরিয়ে দিতে চান, যেখানে বিরোধীদেরও সমালোচনার অবকাশ থাকবে না। গো-রক্ষকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ নিয়ে সঙ্ঘে যে অসন্তোষ দানা বেধেছে, জাতীয়তাবাদের হাওয়ায় তাদেরও বাগে আনা যাবে। ১৫ অগস্ট লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় আর এক দফা জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে তিনি নাড়া দিতে চান দেশের আম নাগরিক, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে। বিজেপির আশা, গোটা দেশ জাতীয়তবাদে মজলে বাকি বিতর্ক ধামাচাপা পড়বে আপনা থেকেই। এর আগে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মতো কর্মসূচিতে যেমন দলমত নির্বিশেষে আম জনতাকে সঙ্গে নেওয়া সম্ভব হয়েছে, এ বারে দেশভক্তির প্রশ্নে সামিল করা যাবে সকলকে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন