CJI DY Chandrachud

‘মেরুকরণ, অসহনশীলতা বৃদ্ধিতে দায়ী সমাজমাধ্যম’

একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে ডান, বাম এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে। ভারতও কোনও ব্যতিক্রম নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:২৮
Share:

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।

সমাজমাধ্যমের বাড়বাড়ন্ত সমাজে মেরুকরণ ও অসহনশীলতা ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছে— গত কাল এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

Advertisement

একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে ডান, বাম এবং মধ্যপন্থীদের মধ্যে মেরুকরণ দেখা যাচ্ছে। ভারতও কোনও ব্যতিক্রম নয়। যার পিছনে রয়েছে সমাজমাধ্যমের বাড়বৃদ্ধি। এর ফলে অসহনশীলতাও বাড়ছে। মেরুকরণ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেও উল্লেখ করেছেন।

এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (সিএটি)-এর মুম্বই বেঞ্চের উদ্বোধনে ট্রাইব্যুনালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, দ্রুত বিচারের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের গুরুত্ব রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির কথায়, “আমাদের নিজেকেই প্রশ্ন করা উচিৎ, এত ট্রাইব্যুনাল কি আদৌ প্রয়োজন, যেখানে বিচারকের অভাব রয়েছে। যখন বিচারক পাওয়া যায়, সেই সময়ে আবার শূন্যপদ বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় সেই শূন্যতা বাড়তেই থাকে। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ কার থাকবে, সেই নিয়ে সংঘাত চলতেই থাকে।”

Advertisement

বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের জন্য যাতে সহজে আদালত কক্ষের দরজা খোলা যায়, সেই দিকেও জোর দিয়েছেন। সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, বিচার পেতে প্রযুক্তি একমাত্র মাধ্যম নয়। সশরীর হাজিরার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন