আম্মা-পনীরের পরে চিন্নাম্মারও ভরসা তিনি

ই কে পালানিসামি! কে তিনি?আজ ভরদুপুরে নামটা ভেসে উঠতেই গোটা দেশে এই প্রশ্নটিই উঠে এসেছে বহু মুখে। কারণ প্রচারের আলোতে সে ভাবে আসেননি কখনওই। যদিও ১৯৮০-র দশক থেকেই জয়ললিতার ‘ছায়াসঙ্গী’ এই পালানিসামি। সেই সঙ্গে দলের একনিষ্ঠ কর্মী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২০
Share:

ই কে পালানিসামি । ছবি: পিটিআই

ই কে পালানিসামি! কে তিনি?

Advertisement

আজ ভরদুপুরে নামটা ভেসে উঠতেই গোটা দেশে এই প্রশ্নটিই উঠে এসেছে বহু মুখে। কারণ প্রচারের আলোতে সে ভাবে আসেননি কখনওই। যদিও ১৯৮০-র দশক থেকেই জয়ললিতার ‘ছায়াসঙ্গী’ এই পালানিসামি। সেই সঙ্গে দলের একনিষ্ঠ কর্মী। জয়ললিতা ও পনীরসেলভমের মন্ত্রিসভায় ছিলেন তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। জয়ললিতা জেলে গেলে ‘প্রক্সি’ দিতেন পনীরসেলভম। জেলের দোরগোড়ায় পৌঁছে আম্মার দীর্ঘদিনের সঙ্গী শশিকলাও বেছে নিলেন তাঁর নিজস্ব ‘প্রক্সি’। আম্মার ‘প্রক্সি’ পনীরের মুখ্যমন্ত্রী পথে দেওয়াল তুলতে। আজ রায় বেরনোর পরে শশী শিবিরের বিধায়কেরা তাঁকে পরিষদীয় দলনেতা বেছে নিয়েছেন।

পনীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই পালানিসামিই প্রথম প্রকাশ্যে দাবি তোলেন চিন্নাম্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করার। তাঁরই পুরস্কার পেলেন কি তিনি! যদিও এটিকেই একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন না শশী শিবিরের নেতারাও। পালানিসামি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আম্মা-পনীর-চিন্নাম্মা তিন জনেরই ভরসার পাত্র হতে পেরেছেন বিভিন্ন সময়ে।

Advertisement

পেশায় কৃষক পালানিসামি তরুণ বয়সেই যোগ দেন এডিএমকে-তে। কিছু দিনের মধ্যে সালেম জেলার নেন্ডুগুলাম এলাকার এই বাসিন্দা পরিচিত হয়ে ওঠেন সালেম এলাকার নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে। ১৯৮৭ সালে দল ভাঙার সময়ে জয়ললিতাকে সমর্থন করেন তিনি। এডাপ্পাড্ডি আসন থেকে দলের টিকিট দিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করেন আম্মা।

এর পরে বহু উত্থান পতন ঘটেছে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে। ঘনিষ্ঠ অনেক নেতা-নেত্রীর সঙ্গেই জয়ললিতার দূরত্ব বেড়েছে, কমেছে। ২০১১ সালে ছায়াসঙ্গী শশিকলা ও তাঁর স্বামীকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন জয়ললিতা। কিন্তু পালানিসামির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ার কথা জানা নেই তামিল রাজনীতিকদেরও। বরাবরই দলের অল্প যে ক’জনকে জয়লিলতা বিশ্বাস করতেন, পালানি তাঁদের এক জন। তাঁর মাধ্যমেই নেত্রীর বার্তা পেতেন দলের বিধায়কেরা। ২০১১ থেকে ২০১৬, জয়ললিতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। বার বার মন্ত্রিসভার বদল হলেও তাঁর দায়িত্ব বদলায়নি। জয়া অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও পূর্ত, সড়ক ও ছোট বন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে পনীর-টিমে বিশেষ গুরুত্ব ছিল এডাপ্পাড্ডির এই চার বারের বিধায়কের।

তবে শশী-পনীর দ্বন্দ্বের পরে ফের পক্ষ বাছতে হয়েছে পালানিসামিকে। শশিকলার টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে কয়েক দিনে বিস্তর ঝক্কি সামলেছেন। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায় জানার পরেই শশিকলা তাঁর শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসে যান।
এর পর পালানিসামি জানান, পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে তাঁর নাম সর্বসম্মতিক্রমে স্থির করা হয়েছে। তিনি রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের কাছে সরকার গড়ার দাবিও জানিয়ে এসেছেন সন্ধেয়। দাবি করেছেন, এডিএমকের ১৩৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকে। রাজ্যপালের কাছ থেকে বেরিয়ে পালানিসামি রাতে ফিরেছেন তাঁর এই ক’দিনের ঠাঁই গোল্ডেন বে রিসর্টেই। তাঁর বর্তমান নেত্রী শশিকলা যেখানে আগামী আইনি লড়াইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত। গুনছেন উদ্বেগের প্রহর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন