মুম্বইয়ের সেলিব্রিটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়াকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার পর যে প্রশ্নগুলি উঠছে।
প্রথমত, শিনা বরা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্যই কি তাঁকে সরতে হল? মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন পুলিশ অফিসার তথা বিজেপি এমপি সত্যাপাল সিংহের দাবি, পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল রাকেশ মারিয়ার। সরানোর পিছনে কি সেটাও একটা কারণ? কোনও বড় কাউকে বাঁচানো কি লক্ষ্য থেকেছে কোথাও?
দ্বিতীয়ত, শিনা বরা তদন্তের কারণেই যে সরতে হল তার আরও একটা প্রমাণ, শুধু রাকেশ মারিয়াই নয় একই সঙ্গে সরে যেতে হল তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও চার তদন্তকারী অফিসারকেও। প্রশ্ন এখানেই, তা হলে কি বড় ভীমরুলের চাকে হাত দিয়েছিলেন মারিয়া? বড় কোনও চাঁইয়ের গায়ে আঁচ পড়তে যাচ্ছিল? শিনা বরা হত্যা রহস্যে বহু নামই উঠে আসেছে যাঁরা সমাজের উচ্চ পর্যায়ের। বড় কোনও চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল?
তৃতীয়ত, প্রোমোশনের জন্যই যদি সরে যেতে হল তা হলে এ রকম আচমকা কেন? ৩০ সেপ্টেম্বরের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হল না কেন? কেন মঙ্গলবারেই তড়িঘড়ি চার্জ বুঝিয়ে দিতে হল নতুন পুলিশ কমিশনার আহমেদ জাভেদকে?
চতুর্থত, প্রোমোশনের জন্যই সরানো হল? নতুন পুলিশ কমিশনার আহমেদ জাভেদ তো ডিজি র্যাঙ্কেরই। তা হলে ডিজি স্তরে প্রোমোশন দিয়েও পুলিশ কমিশনারের পদে রেখে দেওয়া যেতে পারত। তা হল না কেন?
পঞ্চমত, প্রোমোশন দেওয়া হলেও ‘পানিশমেন্ট পোস্টিং’ হল কেন? মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার থেকে মহারাষ্ট্রের ডিজি হোমগার্ড ‘অবমাননাকর’ পোস্টিং ছাড়া কিছু নয়। নেপথ্যে কারণটা কী থেকে গেল?
ষষ্ঠত, বছর খানেক আগে আইপিএলের প্রাক্তন প্রধান ললিত মোদীর সঙ্গে লন্ডনে দেখা করাকে কেন্দ্র করে মারিয়াকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল দু’মাস আগে। তা হলে ললিত-যোগই কি তাঁর সরে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াল?
সপ্তমত, শিনা বরা হত্যাকাণ্ডকে অহেতুক গুরুত্ব দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তাঁকে সরানোর পিছনে কি তা হলে এই অসন্তোষ কাজ করেছে?
পুলিশ হয়েও সেলিব্রিটি, তিনি রাকেশ মারিয়া