প্রতীকী ছবি।
অপহরণের পরে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও পাঠিয়েছিল অপহরণকারীরা। কিন্তু মুক্তিপণ দেওয়ার আগেই লেকের জলে মিলল বছর উনিশের কলেজ ছাত্রের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। অপহরণের এবং খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘এমন শাস্তি যেন স্কুল না দেয়’, চিঠি লিখে আত্মঘাতী ক্লাস ফাইভের ছাত্র
গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর উল্লাল এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল আয়কর আধিকারিক নিরঞ্জন কুমারের ছেলে শরত। পরিবার সূত্রে খবর, বন্ধুদের নিজের নতুন মোটরবাইক দেখাতে গিয়েছিল সে। রাত সাড়ে ৮টার পরেও বাড়ি না ফেরায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর বাড়ির লোকজন। শরতের মা জানিয়েছেন, ছেলের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তাই কোনওভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তখনই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের মৃত্যু নাবালিকার, পরিবারের ইচ্ছায় হল গ্রিন করিডর গড়ে অঙ্গ দান
পুলিশ জানিয়েছে, শরত নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পরে তার বাবা, মা এবং বোনের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও আসে। সেখানে দেখা যায়, পরিবারের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ জোগাড় করার জন্য অনুরোধ করছে শরত। তার কয়েক দিন পর শহরতলির রাচেনাহাল্লি লেকের জলে তার দেহ ভাসতে দেখা যায়। তদন্তকারী এক অফিসারের দাবি, অপহরণকারীরা জেনে গিয়েছিল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাই শরতকে খুন করে তারা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শরতের এক আত্মীয় বিশাল এবং তার সঙ্গে আরও কয়েক জন জড়িত রয়েছে এই ঘটনায়। বিশাল-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।