রাফাল-কাণ্ডে সুর চড়ালেন সনিয়াও, দাবি জেপিসি তদন্তের

রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সংসদের ভিতরে-বাইরে আক্রমণে নামল কংগ্রেস। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫০
Share:

প্রতিবাদ: রাফাল নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভে শামিল সনিয়া গাঁধী। শুক্রবার। পিটিআই

সংসদে গাঁধী মূর্তির সামনে সনিয়া গাঁধী। ছত্তীসগঢ়ের ময়দানে রাহুল গাঁধী।

Advertisement

রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সংসদের ভিতরে-বাইরে আক্রমণে নামল কংগ্রেস।

বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে সুর চড়িয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গড়ে রাফাল-চুক্তি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলল। সনিয়া গাঁধী নিজেই সংসদ চত্বরে গাঁধী-মূর্তির সামনে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিলেন। হাতে কালো ফিতে বেঁধে স্লোগান তোলেন তিনি। কংগ্রেসের

Advertisement

সঙ্গে তৃণমূল, সিপিআই, আপ ও আরজেডি সাংসদরাও এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন।

রাহুল গাঁধী দিল্লিতে ছিলেন না। তিনি ছত্তীসগঢ়ে গিয়েছিলেন। রায়পুরে এক জনসভায় রাফাল-নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘‘রাফাল এ দেশের সব থেকে বড় প্রতিরক্ষা দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী নিজে ফ্রান্সে গিয়ে ইউপিএ সরকারের চুক্তি বাতিল করে নতুন চুক্তি করেন। প্রতিটি রাফাল যুদ্ধবিমানের

দাম কোনও এক জাদুতে ৫৪০ কোটি টাকা থেকে ১৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়।’’

প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর তিনি দুর্নীতি রুখতে চৌকিদারের দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন মোদী। রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘চৌকিদার এখন ভাগিদার হয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী আমার চোখে চোখ মেলাতে পারেন না। যে সংস্থার ৪৫ হাজার কোটি টাকার দেনা, তাদের রাফাল তৈরির বরাত দিয়েছেন তিনি।’’

সংসদের ভিতরেও যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি-র দাবিতে রাজ্যসভা অচল করে কংগ্রেস। লোকসভায় প্রতিবাদ চলাকালীন, কংগ্রেস সাংসদ সুনীল জাখর কাগজের তৈরি যুদ্ধবিমান দেখিয়ে দাবি তোলেন, ‘‘আমিও ভাল রাফাল বানাতে পারি। আমাকে বরাত দেওয়া হোক।’’ এর পর সালিশি বিল নিয়ে আলোচনায় সময় জাখর জানান, ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার মতো

রাফাল-চুক্তি নিয়েও বিরাট সালিশি মামলা হবে।

গত কাল নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথা মেনে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজ সব দলের নেতাদের প্রাতরাশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মোদী সরকার তথা বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে কংগ্রেস তাতে যোগ দেয়নি। বিজেপির অভিযোগ, এটি সাংবিধানিক পদের অপমান। যদিও কংগ্রেসের যুক্তি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তাঁদের রাফাল চুক্তির প্রসঙ্গ তুলতেও বাধা দিয়েছেন। সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই অধিকাংশ বিল পাশ করানো হচ্ছে। এরও প্রতিবাদ জানানো দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন