বিজেপি নেতা গনেশ সিংহ। ছবি: ফেসবুক
পুরাণ, ধর্মশাস্ত্র নিয়ে বহু অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছে অনেক বিজেপি নেতার মুখে। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বিজেপি সাংসদ গণেশ সিংহ।
সংস্কৃত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৯ বিতর্কে অংশ নিয়ে গণেশ দাবি করলেন, ‘‘নিয়মিত সংস্কৃতে কথা বললে স্নায়ুতন্ত্র শক্তিশালী হয়। নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবিটিস ও কোলেস্টোরল।’’ তাঁর দাবি, একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে জানিয়েছে সংস্কৃত বললে শরীর ভাল থাকে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, কিছু ইসলামিক ভাষা-সহ বিশ্বের ৯৭ শতাংশ ভাষার ভিত্তি সংস্কৃতই।
তিনটি সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত কাল লোকসভায় বিল এনেছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। আজ বিল নিয়ে আলোচনায় উঠল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘সংস্কৃত ভাষার প্রসারে কেন্দ্রের এই উদ্যোগ স্বাগত। কিন্তু দেশে সংস্কৃতের পণ্ডিত হিসেবে খ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামে অন্তত একটির (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) নামকরণ করলে, পশ্চিমবঙ্গে তাঁর মূর্তি ভাঙার কালি কিছুটা মুছত।’’ জবাবি ভাষণে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক অবশ্য বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গে ঢোকেননি।
অভিযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি পড়ানোর বন্দোবস্তে আরও টাকা বরাদ্দ না-করে হিন্দুত্বের প্রসারের জন্যই সংস্কৃত, ভারতীয় দর্শন, যোগ ইত্যাদির চর্চা বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। মন্ত্রীর পাল্টা, শূন্যের আবিষ্কর্তা আর্যভট্ট থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চরক সংহিতা— সব কিছুতে এ দেশের গৌরবময় অতীত জানার জন্য আগে সংস্কৃত শিক্ষা জরুরি।