দেবাংশ কাকোরা
স্কুলের জলাধারে ভাসছে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রের দেহ। কিন্তু ছাত্রটিকে উদ্ধারের চেষ্টাই করলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উল্টে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে গেলেন গোটা ব্যাপারটা। শিক্ষকদের মতোই ছাত্রের দেহ উদ্ধারে হাত লাগাননি স্কুলের কর্মীরা। লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে খোদ রাজধানী দিল্লিতে।
গত ৩০ জানুয়ারি দিল্লির বসন্তকুঞ্জের বেসরকারি স্কুলের জলাধার থেকে উদ্ধার হয় দেবাংশ কাকোরা নামে এক ছাত্রের দেহ। ঘটনার কথা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া।
ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টে প্রকাশ, দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রটি। কিন্তু সে ব্যাপারে খেয়ালই করার প্রয়োজনই মনে করেননি ক্লাস টিচার। শিশুটির কোনও খোঁজ করেননি তিনি। হুঁশ যখন ফেরে তখন দেখা যায় স্কুলের জলাধারে ভাসছে ছোট্ট দেবাংশের দেহ। জলাধারের পাড়ে তখন
ভিড় জমিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, স্কুলের কর্মীরা। সেখানে ছিলেন সাঁতার প্রশিক্ষকও। কিন্তু নিজের জীবন বিপন্ন করে কেউই জলে নামার চেষ্টা করেননি। কেন না জলাধারের খুব কাছেই রয়েছে অ্যাম্পিথিয়েটার। বিদ্যুতবাহী তারও গিয়েছে জলাধারের উপর দিয়ে। কেউ আবার সেই তারে বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করার কথাও ভাবেননি। নির্লিপ্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু এতটা নির্লিপ্ত হয়ে থাকতে পারেনি ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রোজ্জ্বল সেহরাওয়াত নামে এক ছাত্র। নিজের প্রাণ বিপন্ন করেই জলে নামে এনসিসি ক্যাডেট প্রোজ্জ্বল। তার চেষ্টাতেই উদ্ধার হয় বছর ছয়েকের ওই ছাত্রটির দেহ। অন্য দিন জলাধারের দরজা তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখা থাকলেও ঘটনার দিন খোলা ছিল জলাধারের দরজা, শিশুটির দেহ উদ্ধারের পর জানায় প্রজ্জ্বোল। কিন্তু কেন এই গাফিলতি? কোনও উত্তর নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...