ইতিবাচক ফল দিয়েছিল পরীক্ষা। আগামী ১ এপ্রিল থেকে তাই কলকাতা-সহ দেশের ৭টি বিমানবন্দরে যাত্রীদের হাতব্যাগে বিমানসংস্থার ট্যাগ আটকানো আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। ওই ট্যাগে নিরাপত্তাকর্মীদের ‘সিকিওরিটি চেক’ ছাপ দেওয়ার ব্যবস্থাটাই তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী সিআইএসএফ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোচি এবং আমদাবাদে ১ তারিখ ভোর পাঁচটা থেকেই শুরু হয়ে যাবে নয়া বন্দোবস্ত।
এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য, সময় বাঁচানো। উপরন্তু অনেক সময়ে দেখা গিয়েছে, ট্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় বোর্ডিং গেট থেকেও ফিরতে হয়েছে যাত্রীদের। অথচ বিশ্বের অধিকাংশ বড় বিমানবন্দরেই আর ট্যাগ ঝোলানোর ব্যবস্থা নেই। সুবিধে-অসুবিধে পরীক্ষা করে দেখতেই গত ডিসেম্বরের ১৫ থেকে ২২ তারিখ কলকাতা-সহ এই সাত বিমানবন্দরে হ্যান্ড-ব্যাগেজে ছাপ মারা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি হস্তগত করে মাকে ‘ত্যাগ’ করেছেন ডাক্তার ছেলে, মায়ের দায়িত্ব নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তবে নয়া পদ্ধতি পুরোপুরি চালুর আগে সুরক্ষা-ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করার উপরে জোর দিয়েছিল সিআইএসএফ। ওই সাত দিনে অধিকাংশ যাত্রীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া যেমন মিলেছিল, তেমনই ট্যাগ পরীক্ষা না করা সত্ত্বেও আচমকা তল্লাশিতে কাজ হয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখেই তাই সিদ্ধান্ত। তবে যাত্রীর দেহতল্লাশির পরে তাঁর বোর্ডিং কার্ডে ছাপ দেওয়ার ব্যবস্থা আপাতত বহাল থাকছে। সিআইএসএফের ডিজি ও পি সিংহ বলেন, ‘‘আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরিকাঠামো এনেছি। এর ফলে যাত্রীদের এই ঝঞ্ঝাটমুক্ত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’’ বাহিনী সূত্রের খবর, দেহতল্লাশি ও হাতব্যাগ তল্লাশির পর থেকে বিমানে ওঠার আগে পর্যন্ত যাত্রীদের যে এলাকায় আলাদা করে রাখা হয়, সেই ‘সিকিওরিটি হোল্ড এরিয়া’র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কিছু বদল আসছে। হাতব্যাগে গর্হিত কিছু থাকলে তার নাগাল যাতে যাত্রী আর না পান, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া বসেছে উচ্চ ক্ষমতার সিসিটিভি ক্যামেরা। যাতে প্রত্যেক যাত্রী ও তল্লাশির দায়িত্বে থাকা জওয়ানকে অনায়াসে চিহ্নিত করা যায়। সিআইএসএফের এক কর্তা জানান, ‘‘ট্যাগে ছাপ দেওয়া বন্ধ করাটা প্রথম ধাপ। সব ঠিক থাকলে দ্বিতীয় ধাপে বোর্ডিং কার্ডে ছাপ দেওয়ার ব্যবস্থাও তুলে দেওয়া হবে।’’