ডাকটিকিটে ইন্দিরা ও রাজীব গাঁধীকে ফেরানোর দাবিতে পথে নামল যুব কংগ্রেস। দিল্লিতে তাঁদের বিক্ষোভের পাশাপাশি আনন্দ শর্মা আজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ঘৃণার রাজনীতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন।’’ মোদী অবশ্য সরকার সিদ্ধান্তে অনড়। একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইনল্যান্ড লেটারে এত দিন ইন্দিরা গাঁধীর যে ছবি দেখা যেত, সেটিও সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ বলেন, ‘‘এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এত দিন কংগ্রেস একটি পরিবারের নিরিখে দেশকে দেখেছে, মানুষকে দেখাতেও চেয়েছে। আমরা এর পরিধি বাড়াতে চাই।’’
ডাকটিকিট সাধারণত দু’ ধরনের হয়। স্মারক ও রোজকার ব্যবহারের জন্য। ২০০৪ থেকে ইন্দিরা ও রাজীবের নামে ডাকটিকিট রোজকার ব্যবহারের জন্য চালু হয়েছিল। এখন তা আর নেই। রবিশঙ্করের প্রশ্ন, কেন ডাকটিকিটে একটি পরিবারের অধিকার বলে এত দিন মেনে
নেওয়া হয়েছে?
গাঁধী, নেহরু, পটেল, আজাদ, সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিংহ, রামমনোহর লোহিয়া, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, শিবাজি, লোকমান্য তিলক, মাদার টেরিজা, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনীষীদের ডাকটিকিট কেন প্রসার করা হবে না? কেনই বা মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, রফির নামে ডাকটিকিট সাধারণ মানুষ দেখবেন না? রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘আমরা এখন এই কাজটাই করছি।’’ অন্য দলগুলি যাতে না চটে, বিজেপি সতর্ক সে ব্যাপারেও। যে কারণে রবিশঙ্করআজ জানিয়েছেন, ‘‘বাম নেতাদের দাবি মেনে ভূপেশ গুপ্তর নামেও ডাকটিকিট চালু করা হবে।’’