Supreme Court

Parliament: সংসদে যথাযথ বিতর্ক হয় না: প্রধান বিচারপতি

বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের উদ্দেশ্য হল বিনা বিতর্কে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া। তারা আলোচনা চায় না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২১ ০৪:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

নয়াদিল্লি, ১৫ অগস্ট: স্বাধীনতা দিবসে সংসদের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা। তাঁর আক্ষেপ, এক সময়ে আইনজীবী সাংসদের সংখ্যা ছিল অনেক। ফলে সংসদে আইন নিয়ে আলোচনা হত। এখন আইন নিয়ে কথাই হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি।’’

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আইনের কোনও স্বচ্ছতা নেই। আমরা জানিই না, আইন থাকার উদ্দেশ্য কী। এটা জনসাধারণের পক্ষে ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ, রাজ্যসভা, লোকসভায় কোনও আইনজীবী সদস্য নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যদি স্বাধীনতা সংগ্রামীদেরই দেখি, তাঁদের অনেকেই আইনের লোক ছিলেন। প্রথম যখন লোকসভা ও রাজ্যসভা গঠন হয়, তাতে তখন ভর্তি আইনজীবী।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন সংসদে যা হয়, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক... তখন যে ধরনের বিতর্ক হত, সেগুলি গঠনমূলক ছিল।

অর্থ বিল নিয়ে বিতর্কের সময়ে দেখেছি, যথাযথ বিষয় তুলে কথা হত। আইন নিয়ে আলোচনা হত। এতে আইন তৈরি হওয়ার নেপথ্যে আইনসভার ভূমিকাটি স্পষ্ট হয়ে উঠত।’’ প্রধান বিচারপতি শাসক-বিরোধী প্রসঙ্গ না তুললেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিরোধীদের দুষে টুইট করেন, ‘‘নতুন সাংসদদের একটাই কাজ, যে কোনও ভাবে হোক বিতর্কসভা বন্ধ করে দেওয়া।’’ বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, সরকারের উদ্দেশ্য হল বিনা বিতর্কে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া। তারা আলোচনা চায় না। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ দোলা সেনের কথায়, “১৯ দিনে ৩৮টি বিল পাশ হয়েছে। প্রতি বিলে সময় ব্যয় হয়েছে ৭-১০ মিনিট।” কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও বলেন, ‘‘সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে যে ভাবে বলপ্রয়োগ করে বিমা বিল পাশ করানো হয়েছে, তাতে সংসদের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন