২০ মিনিটের বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে প্রায় ১৫০টি কাঁচা-পাকা বাড়ি এবং গাছপালা ভেঙে পড়ল অসমের ধুবুরি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমানার পাটামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আবুলেরচর গ্রামে। ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে এবং উড়ে যাওয়া ঘরের টিনের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন এক শিশু-সহ ৫ জন গ্রামবাসী। ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই গ্রামের প্রায় ৫০ পরিবারের প্রায় ৩০ জন লোক। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আবুলেরচর গ্রামে শুরু হয় বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির। রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আবুলেরচর গ্রামে শুরু হয় বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলা ঝড়ের দাপটে ওই গ্রামের প্রায় ১৫০টি কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘর এবং গাছপালা ভেঙে পড়ে। ঝড়ের দাপটে বাড়ি-ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঝড়ের দাপটে ভেঙে যায় আবুলেরচর গ্রামের একটি বালিকা প্রাথমিক স্কুলের ঘর এবং মসজিদ ঘর। সারা রাত খোলা আকাশের তলায় থাকতে হয় ঘর বাড়ি হারানো লোকেদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই ঘটনার পরেও ধুবুরি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ত্রাণ বিলি করাতো দুরের কথা, সোমবার বিকেল পর্যন্ত দুর্গতদের খোঁজ খবর নেওয়ার সময় হয়নি জেলা প্রশাসনের। পাটামারি আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সদস্যা রুবিনা খাতুন অভিযোগ করেন, ‘‘ঘটনার পরেই জেলা শাসককে ফোন করে বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু সোমবার বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করাতো দুরের কথা দূর্গতদের খোঁজ খবর নেওয়ার সময় হয়নি জেলা প্রশাসনের।’’ ধুবুরির জেলাশাসক নজরুল ইসলাম জানান, “ওই গ্রামের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান তদন্ত করা পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রী বিলি করার নির্দেশ করা হয়েছে।