নাগরিক পঞ্জি নিয়ে আকসা-র ডাকা বরাক বন্ধ। ছবি: স্বপন রায়।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নবীকরণকে ঘিরে ডাকা বরাক বন্ধে আজ ব্যাপক সাড়া মিলল। কোনও রকম পিকেটিং বা জোরজার ছাড়াই উপত্যকার সব জায়গায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। চলেনি যানবাহনও। সরকারি কর্মীরা যাননি অফিস-কাছারিতে। পুলিশ জানিয়েছে, কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই।
১৯৫১ বা ১৯৭১ সাল নয়, ২০১৪-র ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, সবাইকে নাগরিক পঞ্জিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি নিয়ে অল কাছাড়-করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আকসা) এই বনধ ডাকে। কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবও তাদের দাবিকে সমর্থন করেন। তিনি আজ নিজে রাস্তায় নেমে বন্ধ আহ্বায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। বলেন, ‘‘শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি, এনআরসি ইস্যুতে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা উচিত। নইলে বহু ভারতীয় নাগরিক এনআরসি থেকে বাদ পড়ে যাবেন।’’
লোকসভায়ও শিলচরের সাসদ সুস্মিতা দেব বাংলাদেশি ইস্যুতে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। আইন মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া তখন জানান, অসমে কোনও বাংলাদেশি নেই। এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সুস্মিতা আজ বলেন, ‘‘বাংলাদেশি না থাকলে আর এত সব সন-টনের হিসেব টানা কেন। সারা দেশে যে ভাবে নাগরিক পঞ্জি তৈরির কথা ভাবা হয়েছে, অসমেও সে ভাবে করে নিলেই হল। যাদের ভোটার পরিচয় পত্র রয়েছে, তাঁদের সবার নাম নাগরিক পঞ্জিতে তোলা হোক।’’ এ নিয়ে আদালতে যাওয়ারও ইঙ্গিত দেন পেশায় আইনজীবী সুস্মিতা।
পুলিশ জানিয়েছে, কাছাড়ে কোনও পিকেটারকে গ্রেফতারের প্রয়োজন পড়েনি। করিমগঞ্জে ৩৪ জন ও হাইলাকান্দিতে ৭ জনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পুলিশ বিমানযাত্রীদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সময়ে স্নাতক স্তরের সেমেস্টার পরীক্ষা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ আগেই আজকের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। আজকের পরীক্ষাগুলি ২০ মে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।