গুরুগ্রাম, বডোদরার পর এবার কর্নাটকের কোদাগু জেলার একটি স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রের মৃতদেহ। এই ঘটনায় পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করেছে। স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল এবং কমপিউটার শিক্ষক-সহ পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃত ছাত্রের বাবা অভিযোগ করেছেন বেশ কিছুদিন ধরেই কয়েকজন শিক্ষক তাঁর ছেলেকে অপদস্থ করছিলেন।
ঘটনাটি শনিবারের। ওইদিন কোদাগু সৈনিক স্কুলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় ১৪ বছরের ওই ছাত্রের দেহ। মৃতের নাম এনপি চিনগাপ্পা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্রটিকে অচৈতন্য অবস্থায় শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয়। তার পরই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্কুলেই চাকরি করেন ছাত্রের বাবা নগেন্দ্র টি পোভাইয়া। তিনি স্কুলের হকি দলের কোচ। নগেন্দ্রর দাবি, তাঁর ছেলেকে বেশ কিছু দিন ধরেই কয়েকজন শিক্ষক অপদস্থ করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। ছাত্রের বাবার দাবি, স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল সীমা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার রাতে রীতিমতো তপ্ত হয়ে ওঠে কুশলনগর গ্রাম। মৃত ছাত্রের বাবা এবং তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ছাত্রের পরিবারের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় ছেলেকে।
আরও পড়ুন: ছুটি পেতেই স্কুলে খুন? তেমনই বলেছে ভদোদরার ক্লাস টেনের ছাত্র
যদিও ছাত্রের পরিবারের সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেনা স্কুলের তরফে। তাদের সাফাই, শনিবার সকালে স্কুলের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ছাত্রটি। তখন তাকে ডাক্তার দেখানো হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। তার পর সন্ধ্যায় ফের শৌচাগার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ছাত্রটিকে।
আরও পড়ুন : বিজয়ন-মমতার ধাক্কা সামলাতে সক্রিয় সিপিএম
দিন কয়েক আগেই বডোদরার শ্রী ভারতীয় বিদ্যালয়ের শৌচাগারে মেলে এক নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃতদেহ। স্কুলের শৌচাগার থেকে দেব ভাগবত নামের ওই ছাত্রের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বরে গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শৌচাগারে ওই স্কুলেরই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। প্রতি ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়ে যায় স্কুলের অপর এক ছাত্রের।