সঙ্ঘ-পরিবার ও বিজেপির চাপে অবশেষে কিছুটা হলেও পিছু হঠার ইঙ্গিত দিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। অরুণ জেটলিকে সরাসরি আক্রমণের পরে আজ স্বামী দাবি করলেন, তিনি মোটেই জেটলিকে আক্রমণ করেননি। সংবাদমাধ্যম বিষয়টিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করেছে। তবে ভাঙলেও না মচকানোর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে স্বামী মন্তব্য করেছেন, তিনি যদি কাউকে নিশানা করতে চান, তবে তা সরাসরিই করবেন।
রঘুরাম রাজনের পর স্বামী অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা ও সচিবদের আক্রমণ করলে জেটলি তাঁকে সংযত থেকে শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দেন। স্বামী পাল্টা হুমকি দেন, তিনি সত্যিই শৃঙ্খলা ভাঙলে রক্তপাত হবে। বেজিংয়ে জেটলির কোট টাই পরা ছবির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কোট আর টাইয়ে মন্ত্রীদের ওয়েটারের মতো দেখায়। তাঁদের ভারতীয় পোশাক পরা উচিত। এই মন্তব্যের পরে ফের স্বামীর উপরে চাপ তৈরি করা হয়। অনেকে টুইটারে বিদেশে মোদীর কোট পরিহিত ছবিও তুলে দিতে থাকেন। সেখান থেকে সরে এসে স্বামী আজ জানান, তিনি জেটলিকে আক্রমণ করেননি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সত্যি বলতে, জেটলিকে কোট পরলে খুব স্মার্ট দেখায়।’’ তাঁর উপরে দলের চাপের কথাও ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী।
রবার্ট বঢরার আবার অভিযোগ, মন্ত্রীদের পাশাপাশি ওয়েটারদেরও ছোট করছেন স্বামী। তার জবাবে স্বামী বলেছেন, ‘‘গাঁধী পরিবারের জামাইয়ের উচিত, রাজনৈতিক মন্তব্য না করে কী ভাবে জেলের বাইরে থাকা যায়, সে দিকে নজর দেওয়া।’’ এখানেই থামেননি স্বামী। আজ নতুন করে অভিযোগ তুলেছেন, সনিয়া গাঁধী ২০১২-তে গেরুয়া সন্ত্রাসের গল্প বানিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে চেয়েছিলেন। একই সঙ্গে অরবিন্দ কেজরীবালকে আক্রমণ করে তাঁর অভিযোগ, তিনি আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় কোনও র্যাঙ্ক পাননি। তিনি অন্য কোনও উপায়ে আইআইটি-তে ঢুকেছিলেন।