অরুণ জেটলি বলছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণে তাঁর সায় নেই। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে আজ ফের রাজনের বিরুদ্ধে ছয় দফা অভিযোগ তুললেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপির এই নেতা আজ ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দাবি তুলেছেন, এখনই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদ থেকে রাজনকে বরখাস্ত করা হোক।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বামী অভিযোগ তুলেছেন, আরবিআই গভর্নরের মতো স্পর্শকাতর পদে থাকা সত্ত্বেও রাজন তাঁর গ্রিন কার্ড নবীকরণ করতে নিয়মিত আমেরিকা গিয়েছেন। কিন্তু ওই পদের জন্য দেশের প্রতি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা থাকা দরকার। রাজন আমেরিকার একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সদস্য, যার কাজ হল বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার কর্তৃত্ব বজায় রাখা। রাজন দেশের স্বার্থের তোয়াক্কা না করে নিজের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-মেল ব্যবহার করে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য পাঠিয়ে থাকেন। এ দেশে সুদের হার চড়া রেখে রাজন মাঝারি ও ছোট শিল্পের ক্ষতি করে, বেকারত্ব বাড়াচ্ছেন বলেও স্বামীর অভিযোগ। পাশাপাশি স্বামীর দাবি, রাজন দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করছেন। আবার তিনিই মোদী সরকারকে অসহিষ্ণুতার জন্য দায়ী করছেন। গোটা বিশ্বে ভারতের সর্বাধিক আর্থিক বৃদ্ধির হারকে তাচ্ছিল্যও করছেন তিনি। মন্তব্য করেছেন, আসলে ভারতের অবস্থা অন্ধদের মধ্যে এক চোখের রাজার মতো। স্বামীর দাবি, কোনও সরকারি পদাধিকারীর মুখে এ হেন বিদ্রুপ সম্পূর্ণ নিয়মনীতি বহির্ভূত। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে স্বামী অভিযোগ করেছিলেন,
রাজন মানসিক ভাবে ভারতীয় নন। ইচ্ছাকৃত ভাবে তিনি ভারতের অর্থনীতির ক্ষতি করছেন।
দু’দিন আগেই জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজন। আজ জেটলি জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। যে কেউ তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত হতে পারেন, বিতর্কও হতে পারে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে ব্যক্তিগত আক্রমণে তিনি অনুমোদন দেন না। জেটলি এ কথা বললেও কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, স্বামী আসলে জেটলিকেই নিশানা করছেন। বিজেপি-ও মোদী সরকারের অর্থনীতির ব্যর্থতা ঢাকতে রাজনকে বলির পাঁঠা করতে চাইছে।