Sukanya Mondal

জামিনের আবেদন সুকন্যার, শুনানি ১২ই

গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৩ ০৬:৩৭
Share:

সুকন্যা মণ্ডল। ফাইল চিত্র।

গ্রেফতারির দশ দিনের মাথাতেই জামিনের আবেদন করলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।

Advertisement

শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সুকন্যা মণ্ডলের হয়ে জামিনের আর্জি দায়ের করেছেন তাঁর আইনজীবী অমিত কুমার। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ ইডি-র বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছেন। আগামী সপ্তাহে ১২ মে জামিনের আর্জির শুনানি হবে।

গত ২৬ এপ্রিল দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে সুকন্যাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি ৩১ বছরের সুকন্যাকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার পর থেকে সুকন্যা তিহাড় জেলে। ইতিমধ্যে ইডি অনুব্রতের পাশাপাশি সুকন্যার বিরুদ্ধেও চার্জশিট দায়ের করেছে। সুকন্যার তরফে জামিনের আর্জিতে বলা হয়েছে, ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করে ফেলেছে। তা হলে আর কেন সুকন্যাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে? সুকন্যার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে বলেও জামিনের আর্জিতে জানানো হয়েছে।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারী সংস্থার তরফে সুকন্যার জামিনের বিরোধিতা করা হতে পারে। কারণ, সুকন্যা অনুব্রতের যাবতীয় ব্যবসা, গরু পাচার থেকে আয়ের কালো টাকা দেখাশোনা করতেন। সুকন্যা নিজে দাবি করেছিলেন, তাঁর নামে ভোলে বোম চালকল, এএনএম অ্যাগ্রোটেক, নীড় ডেভেলপারের মতো সংস্থা থাকলেও এ সবের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। সবটাই তাঁর বাবা জানেন। তিনি শুধু ব্যাঙ্কের নথি, চেকবুকে সই করে দিতেন। তাঁর অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা জমা হওয়ার বিষয়েও তাঁর কিছু জানা ছিল না। কিন্তু অনুব্রত, মণীশ কোঠারি দু’জনেই জানিয়েছেন, সুকন্যা ব্যবসায়িক লেনদেন, ব্যাঙ্কের লেনদেন দেখাশোনা করতেন। অনুব্রতের বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নমিনি হিসেবে সুকন্যার নাম ছিল। সুকন্যার ইমেল আইডি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎবরণ গায়েনের আয়কর রিটার্ন জমা করা হত। সুকন্যার ডাকনাম ‘রুবাই’ ব্যবহার করে সেই ই-মেল আইডি তৈরি হয়েছিল। ইডি অনুব্রত-সুকন্যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটে জানিয়েছে, অনুব্রতের বেআইনি আয়ের মধ্যে গরু পাচারের ঘুষের টাকার সঙ্গে জেলা পরিষদ থেকে তোলাবাজি, সরকারি প্রকল্পের বিনিময়ে ঘুষের টাকাও থাকত। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্য ইডি-কে জানিয়েছেন, তিনি অনুব্রতের চালকল দেখাশোনা করতেন। অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগল হোসেন বীরভূম জেলা পরিষদ থেকেও অনুব্রতের হয়ে কমিশনের টাকা তুলত। একই ভাবে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বীরভূমের ঠিকাদার শান্তনু মজুমদার জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পের বরাত পাওয়ার জন্য তিনি অনুব্রতকে ঘুষ দিতেন। এক থেকে পাঁচ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হত। পরে অনুব্রত তাঁকেই নগদে কালো টাকা দিয়ে নিজের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন