Karnataka Assembly Election 2023

পিকের পুরনো সহযোগী, ‘ভারত জোড়ো’র বুদ্ধিদাতা, সাফল্যের ভাগ সুনীলকেও দিচ্ছে কর্নাটক কংগ্রেস

কর্নাটকে জয়ের জন্য কংগ্রেসের তরফে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে রাহুল গান্ধী এবং দলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিকে। কর্নাটক কংগ্রেসের একাংশ এই জয়ের জন্য আর সুনীলকেও কৃতিত্ব দিতে চাইছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ১৬:২৪
Share:

এক সময় পিকের সঙ্গেই কাজ করতেন সুনীল কানুগোলু (ছবিতে ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।

ত্রিশঙ্কু হতে পারে কর্নাটক বিধানসভা। বুথফেরত সমীক্ষায় তেমন ইঙ্গিত থাকলেও ভোটের ফলাফল বলছে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস। এই জয়ের জন্য কংগ্রেসের তরফে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে রাহুল গান্ধী এবং দলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচিকে। তবে কর্নাটক কংগ্রেসের একাংশ এই জয়ের জন্য আর এক জনকেও কৃতিত্ব দিতে চাইছে। তিনি হলেন সুনীল কানোগোলু। কংগ্রেসের মুখ্য ভোটকুশলী। তাঁর কৌশলে ভর করেই এ বার কর্নাটকের নির্বাচনে গিয়েছিল কংগ্রেস।

Advertisement

কর্নাটক কংগ্রেসে দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের মধ্যে ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা সুবিদিত। ভোটের আগে এই দুই নেতার অভ্যন্তরীণ বিরোধই চিন্তায় রেখেছিল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে। তবে কোনও রকম বিবাদ ছাড়াই যৌথ নেতৃত্বে লড়াই করে কর্নাটকে কংগ্রেস যে জয় পেল, তার নেপথ্যেও সুনীলের কৌশলকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন হাত শিবিরের নেতারা। কংগ্রেস সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার পিছনেও ছিল সুনীলের মাথা। এই যাত্রায় কর্নাটকে প্রায় দশ দিন সময় দিয়েছিলেন রাহুল।

সুনীল সম্পর্কে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা বলে থাকেন, তিনি বরাবরই প্রচারবিমুখ। কংগ্রেসের তরফে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) পরামর্শদাতা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তা নাকচ করে দেন। তার পরই নাকি যোগাযোগ করা হয় সুনীলের সঙ্গে। সুনীল অতীতে পিকের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গেও কাজ করেছেন। পরে অবশ্য পিকের সংস্থা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। তিনি যখন কংগ্রেসের মুখ্য ভোটকুশলী হিসাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, তখন কর্নাটকের ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। সুনীল কংগ্রেসের কৌশল রচনার দায়িত্ব পাওয়ার পরেই নাকি বিজেপি তাঁকে পেতে চেয়েছিল। কিন্তু বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সুনীল বলেন, “আমি কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাস করি। তাই এখানেই কাজ করতে চাই।”

Advertisement

ভোটের ফলঘোষণার পর কংগ্রেস নেতাকর্মীরা যখন উচ্ছ্বাসে মেতেছেন, তখন সংবাদমাধ্যম সুনীলের বক্তব্য জানতে চায়। শুধু ধন্যবাদ জানিয়ে মাথা নিচু করে কংগ্রেস দফতরের ভিতর ঢুকে যান তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পিকের এই প্রাক্তন সঙ্গী জানিয়েছেন, তিনি সহজ পন্থায় বিশ্বাস করেন। বিজেপিকে হারাতে তিনি সপ্তাহে ৭ দিন ২০ ঘণ্টা কাজ করেন বলেও জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন