প্রধান বিচারপতির এজলাসে তখন পিন পড়লেও শোনা যাবে। ক্রুদ্ধ বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় তোপ দাগছেন মহারাষ্ট্র পুলিশকে। মহারাষ্ট্র সরকারের হয়ে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা ক্ষমাপ্রার্থনা করেও রাগ কমাতে পারছেন না।
বিচারপতি বলছেন, ‘‘পুলিশের কাছে আমরা শুনতে চাই না যে, সুপ্রিম কোর্ট ভুল করেছে।’’ তাঁর রাগের কারণ, পুণের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের সাংবাদিক বৈঠক। ভীমা-কোরেগাঁওয়ের হিংসার ঘটনায় মাওবাদী-যোগের অভিযোগ তুলে ভারভারা রাও, গৌতম নওলাখা, সুধা ভরদ্বাজের মতো পাঁচ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সাংবাদিক বৈঠকে কোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পুণের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
আজ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘আমি ওই সাংবাদিক সম্মেলন দেখেছি। অতিরিক্ত কমিশনার কটাক্ষ করে বলেছেন যে, এই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল না। ওঁর এই সব বলা বা সুপ্রিম কোর্টকে কালি ছেটানোর কোনও প্রয়োজন নেই।’’ তুষার মেটার ক্ষমাপ্রার্থনার পরেও বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘ওই পুলিশ অফিসারকে বলুন, আমরা বিষয়টা যথেষ্ট গুরুতর ভাবে নিয়েছি। ওঁকে আরও দায়িত্বশীল হতে বলুন। পুলিশ অফিসারের থেকে আমরা শুনতে চাই না যে, সুপ্রিম
কোর্ট ভুল করেছে।’’
আজ পাঁচ সমাজকর্মীর গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, প্রতি দিন পুলিশ নানা রকম চিঠি প্রকাশ করছে। তাতে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। আদালত জানায়, বুধবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।