—ফাইল চিত্র।
স্বামী কখনও বলছেন সম্পর্কের মেরামতি চান। আবার পরক্ষণেই বলছেন, ‘আমাদের মধ্যে আর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব’। আর স্ত্রী? বিচারপতির কাছে তাঁর একটাই দাবি, ‘১ কোটি টাকা আমার চা-ই’।
২০০০ সালে বিয়ে। আর তার বছরখানেক পর থেকেই বিভিন্ন আদালতে এই মর্মেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। শেষে সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের মামলার নিষ্পত্তি করল। ১৬ মাসের মধ্যে স্বামীকে ১ কোটি টাকা স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা করে মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য আবেদন করার নির্দেশ দিল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফনির্দেশ দেন, এই ১৬ মাসে ৪ দফায় ২৫ লক্ষ টাকা করে তাঁকে স্ত্রীকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, রণক্ষেত্র ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী স্কুল, গ্রেফতার শিক্ষক
কী হয়েছিল দু’জনের মধ্যে?
২০০০ সালে বিয়ের পর আমেরিকায় পাড়ি দেন দু’জনে। স্বামী আমেরিকাতেই কর্মরত। আর ডাক্তারি পড়া শেষ করে স্ত্রীও আমেরিকাতেই কাজ করছেন। স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের উপরে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁর বাবার থেকে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নেন তাঁরা। তারপরও তাঁর উপর নির্যাতন থামেনি। স্ত্রীর অভিযোগ, জোর করে ডিভোর্স পেপারে সইও করিয়ে নেন স্বামী।
এরপর থেকেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন স্ত্রী। তবে প্রথমে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকাই ফেরত পেতে মামলা করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে শ্বশুর মারা যান। তাই আপাতত ১ কোটি টাকা ফেরত চাইছেন তিনি।