অনেক লড়াই যা পারেনি, তিনটি শিশুর ‘আর্জি’ কি তা করতে পারবে শেষমেশ?
দশেরা আর দেওয়ালিতে আতসবাজি ফাটানোর সময়ও কি এ বার বেঁধে দেবে আদালত?
তিনটি শিশু শীর্ষ আদালতে তাদের আবেদনে বলেছিল, তাদের বয়স খুব কম। দু’জন মাত্র ছ’মাসের। আর এক জন ১৪ মাসের শিশু। এই বয়সে তাদের ফুসফুস এখনও ঠিক ভাবে গড়ে ওঠেনি। আতসবাজির কানফাটানো শব্দে তাদের বুক কাঁপে। আতসবাজি ফাটার পর পরিবেশ আরও দূষিত হয়ে পড়ে। তাই, আতসবাজি ফাটানোর সময় বেঁধে দেওয়া হোক।
এর আগেও বহু রোগী, হাসপাতাল আর পরিবেশ সংগঠনের তরফে ওই আর্জি জানানো হয়েছে বহু বার। তার ফলে, আতসবাজির শব্দের মাত্রা আগেই বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি শিশু ‘আর্জি’ জানানোর পর এ বার দশেরা ও দেওয়ালিতে কত ক্ষণ সেই বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময়ও বেঁধে দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সে ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায় হবে ‘ঐতিহাসিক’।
ছ’মাসের অর্জুন গোপাল, আরব ভান্ডারি আর ১৪ মাসের শিশু জোয়া রাও ভাসিন ওই আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে। দুই শিশুর হয়ে মামলা লড়ছেন তাদের বাবা। আর আইনজীবী কপিল সিবাল লড়ছেন তৃতীয় শিশুটির হয়ে।
শুনানিতে আইনজীবী সিবাল বলেছেন, ‘‘এ দেশে ৪০ শতাংশ শিশুই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভোগে।’’
এ কথা শুনে চুপ থাকতে পারেননি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও এইচ এল দাত্তুও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার নাতিও মাথা, কান ঢাকা টুপি পরে দূষণের হাত থেকে বাঁচতে।’’