Fact-Check Unit

কেন্দ্রের ‘ফ্যাক্ট-চেক ইউনিট’ তৈরির বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

বুধবার বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, ‘‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে ফ্যাক্ট চেক ইউনিটকে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৫
Share:

— ফাইল চিত্র।

সংশোধিত তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের আওতায় সমাজমাধ্যমের বিষয়বস্তু নিরীক্ষণের জন্য ফ্যাক্ট চেক ইউনিট (এফসিইউ) তৈরির জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জানায়, এই বিষয়টি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

Advertisement

বুধবার বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, ‘‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর অধীনে ফ্যাক্ট চেক ইউনিটকে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।” ফ্যাক্ট চেক ইউনিট তৈরির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বম্বে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করছিলেন কৌতুকাভিনেতা কুণাল কামরা। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যত দিন পর্যন্ত না বম্বে হাই কোর্টে এই মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে তত দিন কেন্দ্রীয় সরকারের এফসিইউ তৈরির বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। তবে এই মামলার যোগ্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি শীর্ষ আদালত।

২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম, ২০২১-এ কিছু সংশোধনী ঘোষণা করেছিল। যার মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে, ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট সরকার সম্পর্কিত জাল, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর অনলাইন বিষয়বস্তুকে চিহ্নিত করতে পারবে৷ তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের অধীনে, যদি এফসিইউ এমন কোনও বিষয়বস্তু খুঁজে পায় তা হলে তারা সরকারের পাশাপাশি, সমাজমাধ্যম মধ্যস্থতাকারীদেরকেও সেই বিষয়ে অবহিত করবে এবং জরুরি পদক্ষেপ করার কথা বলতে পারবে।

Advertisement

এই এফসিইউ স্থাপনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুণাল। তাঁর আবেদন ছিল, নতুন সংশোধিত নিয়ম আদালতের বৈধতা না পাওয়া পর্যন্ত এই ইউনিট গঠনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। বম্বে হাই কোর্ট তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মের আওতায় একটি ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট স্থাপনের অনুমতি দিলে কোনও গুরুতর এবং অপূরণীয় ক্ষতি হবে না। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি এ এস চান্দুরকারের একক বেঞ্চে কুণালের আবেদনের শুনানি হয়। উল্লেখ্য গত ৩১ জানুয়ারি দুই বিচারপতির বেঞ্চ একটি বিভক্ত রায় দেওয়ার পর বিচারপতি চান্দুরকরকে তৃতীয় বিচারক হিসেবে এই মামলার শুনানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কুণালের আবেদন খারিজ হলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। পরে কুণাল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তার মধ্যেই বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার এফসিইউ স্থাপনের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement