জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্রনেতা শারজিল ইমাম (বাঁদিকে) এবং উমর খালিদ (ডানদিকে)। — ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এত দিনেও কেন দিল্লি হিংসায় অভিযুক্ত উমর খালিদ, শারজিল ইমামদের জামিনের আবেদনের জবাব দাখিল করেনি দিল্লি পুলিশ? ২০২০ সালে দিল্লি হিংসায় অভিযুক্তদের জামিন মামলায় এ বার পুলিশকেই ভর্ৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চের তোপের মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশ। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত উমর, শারজিল, গুলফিশা ফাতিমা-সহ ছ’জনের জামিনের আবেদনের জবাব দিল্লি পুলিশ এখনও দাখিল করেনি। এর পরেই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু অনুরোধ করেন, অভিযুক্তদের দায়ের করা জামিনের আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য আরও দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চের যুক্তি, দিল্লি পুলিশকে আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যে, ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ওই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে। তা সত্ত্বেও কর্তব্যে গড়িমসি করেছে দিল্লি পুলিশ।
শেষমেশ মামলার শুনানি শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত করে শীর্ষ আদালত। দুই বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, পাঁচ বছর ধরে কোনও রকম বিচার ছাড়াই কারাগারে রয়েছেন অভিযুক্তেরা। ২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয় দিল্লিতে। আরও অনেকে আহত হন। এর পরেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জেএনইউ-এর প্রাক্তনী উমর, শারজিল, গুলফিশাদের। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর অধীনে মামলা করে দিল্লি পুলিশ। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁরা জেলবন্দি রয়েছেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর উমরদের জামিন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ছয় অভিযুক্ত। গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও এ বিষয়ে জবাব দাখিল করেনি দিল্লি পুলিশ।