বিরোধিতা করলেই মানহানির মামলা নয়। বরং জনপ্রতিনিধি হিসেবে উচিত সমালোচনা মাথা পেতে নেওয়া। বুধবার এই মর্মে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে ফের একহাত নিল সুপ্রিম কোর্ট!
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেশে তামিলনাড়ু প্রশাসনই একমাত্র, যারা বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে লাগাতার মানহানির মামলা করছে। সরকারি সূত্রই জানাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে এমন অন্তত ২০০টি মামলা হয়েছে। যার ৫৫টি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে। ৮৫টি জয়ললিতার বিরোধী ডিএমকে নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সরকারের সমালোচনা করেই সম্প্রতি শাসকের কোপে পড়েছেন বিরোধী দল ডিএমডিকে-র নেতা বিজয়কান্ত। সূত্রের খবর, জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে ২৮টি মানহানির মামলা দায়ের করে সরকার। যা খারিজের আর্জি জানিয়েছিলেন বিজয়কান্ত। বুধবার তারই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মানহানির মামলা ঠুকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জব্দ করাটা কাজের কথা নয়। প্রশাসনের সমালোচনা গণতন্ত্রেরই অংশ। বিরোধীদের অভিযোগ, গত মে-তে গদিতে আসা ইস্তক তেমনটাই করে চলেছেন জয়ললিতা। জুলাই মাসেও এ নিয়ে জয়ললিতাকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। জয়ললিতা তবু স্বমেজাজেই! এরই মধ্যে টুইটারে তাঁর সমালোচনা করে কোপে পড়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫টি মানহানি মামলার এখনও ফয়সালা হয়নি। চূড়ান্ত শুনানি বাকি রয়েছে পিএমকে-র বিরুদ্ধে ৯টি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৭টি মামলারও।