Shiv Sena

‘বার বার পিছোতে পারেন না’, শিবসেনা দ্বন্দ্বে স্পিকারকে সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

সেনা বনাম সেনা দ্বন্দ্বে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্তে দেরি কেন, স্পিকারকে সেই প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, এ ভাবে বার বার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিতে পারেন না স্পিকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:১৫
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

আগেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে নোটিস পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বার রীতিমতো কড়া ভাষায় তাঁর সমালোচনা করল শীর্ষ আদালত। সেনা বনাম সেনা দ্বন্দ্বে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্তে দেরি কেন, স্পিকারকে সেই প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, এ ভাবে বার বার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিতে পারেন না স্পিকার। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময়সীমায় বেঁধে দিল আদালত।

Advertisement

উদ্ধব ঠাকরের শিবির ছেড়ে কয়েক জন বিধায়ক একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দেন। সেই থেকেই বিষয়টির সূত্রপাত। ৫৬ জন বিধায়কের পদ খারিজের আবেদন করে দুই শিবির থেকে ৩৪টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের পদ খারিজের আবেদনও জমা পড়েছিল। পদ খারিজের বিষয়ে মহারাষ্ট্রের স্পিকার রাহুল যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন, তা নিয়ে উদ্ধব শিবির আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই পিটিশনের শুনানিতেই কড়া কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে রাহুলকে জানাল, এ ভাবে গড়িমসি করা যাবে না। পাঁচ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তার পরেও সুপ্রিম কোর্টের ১১ মে-র নির্দেশ নিয়ে কী পদক্ষেপ করেছেন স্পিকার, সেই প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত। রাহুলের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সলিসিটক জেনারেল মেহতাকে বলেন, ‘‘স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বার বার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিতে পারেন না। ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট রায়দানের পর কী করেছেন তিনি?’’

Advertisement

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ‘নির্দিষ্ট সময়সীমা’-র মধ্যে বিধায়কদের পদ খারিজের বিষয়টির মীমাংসা করতে হবে স্পিকারকে। এ বার সেই সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। জানাল, এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টির মীমাংসা করতে হবে। শীর্ষ আদালতের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভাকে। দু’সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

শিবসেনার বিধায়কদের একাংশের সমর্থন নিয়ে শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০২২ সালের জুন মাসে। বিজেপির সাহায্য নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন উদ্ধবকে। সে দিন শিন্ডে এবং তাঁর সঙ্গে প্রথম দফায় ‘বিদ্রোহী’ ১৫ জন শিবসেনা বিধায়কের সেই পদক্ষেপ ‘দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ’ ছিল কি না, গত ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট তা বিবেচনার ভার দিয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকে। উদ্ধব শিবিরের অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে দেরি করছেন স্পিকার।

প্রসঙ্গত, শিন্ডে-সহ ১৬ শিবসেনা বিধায়ককে ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করতে গত বছরের জুন মাসে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার (তথা ডেপুটি স্পিকার) নরহরি সীতারাম জিরওয়াল। কিন্তু সে সময় কিন্তু শিন্ডে শিবির জানিয়েছিল, ডেপুটি স্পিকারকে সরানোর জন্য আগেই বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেছেন তাঁরা। তাই তাঁর কৈফিয়ত চাওয়ার অধিকার নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কেই হাতিয়ার করেছিল শিন্ডেসেনা।

এর পরে গত ১১ মে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, শিন্ডে-সহ ১৬ বিধায়কের পদ বহাল থাকবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। অবশ্য তার আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে এনসিপি বিধায়ক জিরওয়ালকে সরিয়ে স্পিকার হন বিজেপির রাহুল। উদ্ধব গোষ্ঠীর বিধায়ক সুনীল প্রভুকে সরিয়ে শিবসেনার চিফ হুইপ শিন্ডেসেনার অনিল পরবের নিয়োগে স্বীকৃতি দেন তিনি। কিন্তু এখনও শিন্ডে-সহ ১৬ বিদ্রোহীর পদ খারিজ নিয়ে স্পিকার গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন