Atiq Ahmed

আতিকদের হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেন? আতিক হত্যায় রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

পুলিশি হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে আতিক এবং তাঁর ভাইকে খুন করা হল, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এ ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪৭
Share:

আতিক হত্যার ঘটনা বিচারপতিরা টিভিতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। — ফাইল ছবি।

গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফের পুলিশি ঘেরাটোপে খুন হওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি গত ১৩ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের এসটিএফের হাতে আতিকের পুত্র আসাদের ‘এনকাউন্টার’ নিয়েও রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

গত ১৫ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে সরকারি হাসপাতাল চত্বরে আতিক এবং আশরাফকে গুলি করে খুন করে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আসা তিন আততায়ী। তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার শীর্ষ আদালত বেশ কিছু প্রশ্ন তোলে। আদালত বলে, ‘‘ওরা জানল কী করে? আমরা টিভিতে সবই দেখেছি। আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইকে অ্যাম্বুল্যান্সে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি? কেন তাঁদের হাঁটিয়ে এবং প্যারেড করিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল?’’

সরকার পক্ষের তরফে আদালতকে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশেই রুটিন মেডিক্যাল চেকআপের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের সরকারের আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মতো প্রতি দু’দিন অন্তর তাঁদের মেডিক্যাল চেকআপে নিয়ে যেতে হত। সংবাদমাধ্যম এটা জানত। আমরা একটি কমিশন তৈরি করেছি এই ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য।’’

Advertisement

তার পরেই আইনজীবী মুকুল বলেন, ‘‘এই মানুষটি (আতিক আহমেদ) এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গত ৩০ বছর ধরে একাধিক জঘন্য কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনাটি সত্যিই ভয়ঙ্কর। আমরা খুনীদের ধরতে পেরেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, গুরুত্ব বৃদ্ধি করার জন্যই এই কাজ করেছেন।’’

আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইকে খুন করার ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। বিশালের দাবি ছিল, এই খুনের ঘটনায় তিনি একটি ‘প্যাটার্ন’ দেখছেন। যাকে বিচার-বহির্ভূত ভাবে অভিযুক্তদের ‘সাজা’ দেওয়ার প্রবণতা বলে মনে করেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশে ১৮৩টি এনকাউন্টারের কার্যকারণ খতিয়ে দেখার আবেদন নিয়ে তিনি শীর্ষ আদালতে এসেছেন। ঘটনাচক্রে ২০১৭ সালেই দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসেন আদিত্যনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন