প্রতীকী ছবি।
‘লভ জিহাদ’ নাকি ইচ্ছাকৃত ভাবেই ধর্মান্তরণ!
মুসলিম এক যুবককে বিয়ে করার জন্য হিন্দু তরুণীর ধর্ম পরিবর্তনকে ঘিরে শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের সামনে এই প্রশ্নই উঠে এল। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ধর্মান্তরণকে ‘লভ জিহাদ’ হিসাবে তুলে ধরে এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে মামলা হল।
ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ডিসেম্বরে। ২৪ বছরের ওই তরুণীর জন্ম কেরলের একটি হিন্দু পরিবারে। ২০১৬ সালের অগস্টে একটি ম্যারেজ ওয়েবসাইটে ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় সাফিন জাহানের। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা। আর তার কয়েক মাস পর অর্থাৎ ডিসেম্বরে ধর্ম এবং নাম বদলে মুসলিম হয়ে ওঠেন তরুণী। ডিসেম্বরেই তাঁরা বিয়ে করেন।
কিন্তু, তরুণীর পরিবার এই বিয়ে মানতে পারেননি। এই বিয়ে আসলে লভ জিহাদের ফল, তাঁর মেয়ের ‘মগজধোলাই’ করা হয়েছে বলে কেরল হাইকোর্টে মামলা করেন ওই তরুণীর বাবা। মামলায় কেরল হাইকোর্ট এই বিয়েকে ‘লভ জিহাদ’ বলে বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করে। সাফিনের থেকে ওই তরুণীকে আলাদা করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় তরুণীর পরিবার।
আরও পড়ুন:
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে যৌন হেনস্থা, সাসপেন্ড স্কুলের অধ্যক্ষা
পাল্টা তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তরুণীর মগজধোলাই করা হয়েছে। তিনি একটা চক্রান্তের ফল। যুবক সাফিন এক জন অপরাধী এবং তিনি আইএস ও ‘পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’র সঙ্গে যুক্ত। এই সমস্ত সংগঠনের নির্দেশেই সাফিন ওই তরুণীকে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছেন। এবং শুধু ওই তরুণীই নন, কেরলে লভ জিহাদের ঘটনা যে আকছার ঘটে সে দিকেও আদালতের দৃষ্টিপাত করেন তিনি। কেরল হাইকোর্টের রায় তুলে ধরে তরুণীর পরিবার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, বিচারপতি নিজে তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার পরই এই বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
ওই দিন দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পরই সুপ্রিম কোর্ট এনআইএ-কে এই ঘটনার তদন্তভার দেয়।
কী এই ‘লভ জিহাদ’?
অনেকে একে রোমিও জিহাদ বলে থাকে। এতে মুসলিম যুবকেরা অন্য ধর্মের তরুণীদের প্রেমে ফাঁসিয়ে তাঁদের ধর্ম বদলে মুসলিম করে তোলেন।
২০০৯ সালে এই বিষয়টি প্রথম কেন্দ্রের নজরে আসে। প্রেমে ফাঁসিয়ে কেরল এবং ম্যাঙ্গালোরে বহু তরুণীর ধর্ম বদলে দেওয়ার খবর সামনে আসে সে সময়। কিন্তু, মুসলিম সংগঠনগুলি বরাবরই লভ জিহাদকে অস্বীকার করে এসেছে।