আগামী অগস্টেই লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করবে। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমনটাই আশা করছেন শিলচরের কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। দ্রুত সমস্ত সমস্যার সমাধান করে যাত্রীট্রেন চালানোর জন্য তিনি প্রভুকে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি আর্জি রাখেন, এমন ট্রেন চাই, যাতে বরাকের মানুষ দিল্লি, কলকাতা ও গুয়াহাটি সরাসরি যাতায়াত করতে পারে।
সুস্মিতার কথায়, রেলমন্ত্রী প্রথমে সেফটি কমিশনারের রিপোর্ট না দেখে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা হলে ডেকে আনা হয় এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর বেদ প্রকাশ ও যুগ্ম সচিব এবিএস রাওকে। তাঁরা জানান, ১০ জুলাইয়ের মধ্যে সেফটি কমিশনারের রিপোর্ট পেয়ে যাবেন। তবে কী কী ত্রুটি রিপোর্টে তুলে ধরতে পারেন, তা আঁচ করে শোধরানোর কাজ আগেভাগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁর রিপোর্টের পর ট্রেন চালাতে খুব বেশি সময় লাগবে না। অতিরিক্ত যে সব বিষয় রিপোর্টে উল্লেখ করা হবে, সেগুলিও দ্রুত সংস্কার করা হবে।
সুস্মিতা শালচাপড়ায় মালগাড়ি দুর্ঘটনার কথা মন্ত্রীর নজরে নেন। রেলকর্তারা তাঁকে জানান, ব্রডগেজ নির্মাণের সঙ্গে এই দুর্ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। নতুন ট্রেন সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, কী কী ট্রেন ওই রুটে চলবে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে কোচের কোনও অভাব হবে না বলে তিনি সুস্মিতাকে আশ্বস্ত করেন। শিলচরে গিয়ে প্রভুকে প্রথমে ব্রডগেজ ট্রেনের সূচনা করতে হবে, এই কথায়ও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বলেই দাবি করেন সুস্মিতা।
শুক্রবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আর এস ভির্দির সঙ্গে দেখা করেও সুস্মিতা দেব শিলচর-দিল্লি সরাসরি রেল যোগাযোগের দাবি করেছিলেন। ভির্দিও জানিয়েছিলেন, সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুস্মিতা দেবের দাবি, শিলচর-দিল্লি সরাসরি ট্রেন মিললেই ব্রডগেজের জন্য বরাকবাসীর এতদিনের প্রত্যাশা প্রকৃত অর্থে পূরণ হবে। এতে শুধু বরাকবাসীরাই নন, মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরাও উপকৃত হবে।