তিনি যে অবস্থায় বা যেখানেই থাকুন না কেন, কেউ সাহায্য চাইলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে পিছপা হন না। তাঁর পরোপকারের নমুনা আগেও দেশবাসী দেখেছে। আরও এক বার দেখল। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও সাহায্যের হাত যেন বাড়িয়েই রয়েছেন! তিনি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিডনির সমস্যা নিয়ে গত ২০ দিন ধরে তিনি দিল্লির এইমস-এ ভর্তি। কিন্তু তার মধ্যে থেকেও কাজ করে চলেছেন সুষমা।
রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে টুইট করেন গীতা সিংহ নামে এইমস-এর এক পিএইচডি ছাত্রী। টুইটে তিনি জানান, ৭ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় একটি রিসার্চ পেপার জমা দেওয়ার কথা তাঁর। গত ১৪ নভেম্বর তিনি ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ভিসা পেতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে। তাই তাঁর সাহায্যের প্রয়োজন।
গীতার এই টুইট সুষমার কাছে পৌঁছনোর পর পাল্টা টুইট করেন তিনি। টুইটে তিনি বলেন, “গীতা, আমিও এইমস-এ। অনুগ্রহ করে এখানে এসে আমার সঙ্গে দেখা করুন। যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব।” টুইটে সুষমা আরও জানান, গীতার ভিসার বিষয় নিয়ে দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জং-এর সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত নবতেজ সরনার সঙ্গেও।
বিদেশমন্ত্রীর এই অসুস্থতার সময় নিজের সমস্যা জানিয়ে সাহায্য চাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা করা হয় গীতার।
হাসপাতালে থাকলেও কী হবে, সুষমা যে প্রতিটি খবরের দিকে নজর রাখেন তারও নমুনা পাওয়া গেল দিল্লিতে মার্কিন পর্যটকের ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে। খবরটি তাঁর কাছে পৌঁছনো মাত্রই দিল্লি পুলিশকে মামলা রুজু করতে বলেছেন তিনি। দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাও দেখতে বলেন সুষমা।
আরও পড়ুন: টাইমের বিচারে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হলেন মোদী