স্কুলের কাছে পানশালা, বিক্ষোভ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে মদের দোকান তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হলেন বাসিন্দারা। জোট গড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সকলে। হাইলাকান্দির আদালতে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৫ ০৩:২৪
Share:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে মদের দোকান তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হলেন বাসিন্দারা। জোট গড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সকলে। হাইলাকান্দির আদালতে এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাস্থল দক্ষিণ হাইলাকান্দির কাটলিছড়ার লতাকান্দি এলাকা। স্কুলের কাছে মদের দোকান, পানশালা তৈরির চেষ্টা করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের নেতা লতাকান্দি বাইপাসের লাগোয়া একটি মদের দোকান তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করেছেন। প্রাথমিক অনুমতিও তিনি পেয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। তবে, আবগারি দফতরের স্থানীয় কর্তা মুশারফ হুসেনের বলেছেন, ‘‘ওই এলাকায় একটি মদের দোকান তৈরির আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’ আবেদনের কথা জেনেই উত্তাপ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। লতাশিল এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, মদের দোকান ও পানশালা যেখানে তৈরি করতে আর্জি জানানো হয়েছে, তার কাছেই একটি বিএড কলেজ, আইটিআই, হাইস্কুল-সহ একাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। রয়েছে ক্লাব ও ধর্মস্থানও। সেখানে মদেল দোকান তৈরির অনুমতি দেওয়া হলে পরিবেশ নষ্ট হবে। কাটলিছড়ার পদ্মা দাস এ নিয়ে হাইলাকান্দির আদালতে মামলা রুজু করেছেন। রাজ্যের আবগারি কমিশনার, হাইলাকান্দির জেলাশাসক, আবগারি বিভাগের সুপার, পরিদর্শক-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। আবগারি বিভাগের কাছে ওই অনুমতি না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

কাটলিছড়া বিএড কলেজের কর্মী বাপন রায় এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের পড়ুয়ারা রয়েছেন। এখানে মদের দোকান বা পানশালা হলে সমস্যা হবে।’’ জিসিআরবি হাইস্কুলের সহকারী প্রধান-শিক্ষক শেলি কর বিদ্যালয়ের কাছাকাছি মদের দোকান বলেন, ‘‘এখানে মদের দোকান তৈরির অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না।’’ স্থানীয় যুবক আশিস দাসের কথায়, ‘‘আবেদন নিবেদনে কাজ না হলে কাটলিছড়াবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।’’

লতাকান্দিতে মদের দোকান তৈরির অনুমতি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন