শিক্ষক খুনে পেশাদার, সন্দেহ করছে পুলিশ

চৌধুরীটিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সজল নাথ হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষক হত্যার নেপথ্যে ভাড়াটে গুণ্ডার জড়িত আছে বলে পুলিশের সন্দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:০৭
Share:

চৌধুরীটিলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সজল নাথ হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষক হত্যার নেপথ্যে ভাড়াটে গুণ্ডার জড়িত আছে বলে পুলিশের সন্দেহ। কারণ সজলবাবুর পাঁজরে ছোরা দিয়ে শুধুমাত্র একটি আঘাতই করে দুষ্কৃতীরা। আর তাতেই ফুসফুস ফুটো হয়ে যায়। ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। সে কারণেই পুলিশ মনে করছে, পেসাদার খুনি ছাড়া এ ভাবে কাউকে হত্যা করা সম্ভব নয়।

Advertisement

কার্যত পুলিশ ফাঁড়ি লাগোয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটায় করিমগঞ্জে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। করিমগঞ্জের শহরতলি থেকে পুলিশ আব্দুর রহমান নামে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ছোরা। সেটিই শিক্ষক খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে আজ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। তাদের সঙ্গে জড়ো হন স্থানীয় লোকজনও। কেন হত্যা করা হল প্রধানশিক্ষক সজলবাবুকে? কার সঙ্গে ছিল তাঁর রেষারেষি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

তবে খুনের ঘটনার দশ মিনিট আগে পুলিশ ফাঁড়িতে আসা এক যুবকের গতিবিধি নিয়ে পুলিশ মহলেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। বারইগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কাছে সে ভিক্ষে চেয়ছিল। কোনও দিন না দেখা সেই যুবকটির হাতে তিনি নাকি কুড়ি টাকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষক খুনের ঘটনার জেরে পুলিশ মহলেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে ভিক্ষুকের বেশ ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে যাওয়া যুবকটিই কি সজলবাবুর ঘাতক? পুলিশের গতিবিধি, বিশেষ করে ফাঁড়িতে পুলিশের সংখ্যা যাচাই করতেই কি সে সেখানে গিয়েছিল? আজ ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুরও নিয়ে যাওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন