জেলের ভিতরে যৌন হেনস্থায় বাধা দিতে গিয়ে খুন হল এক কিশোর। গত কাল রাতে পটনার বেউর জেলের কিশোর সংশোধনাগারের এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চন্দন (১৪)। এর জেরে দু’পক্ষে মারপিটও হয়। তাতে অন্তত ১২ জন জখম হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে জেলের দুই হেড ওর্য়াডেনকেও।
পটনা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মে গৌরী চকের বাসিন্দা চন্দনকে রেল পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জুভেনাইল আদালতের নির্দেশে বেউর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখানে সে ছাড়াও আরও ১৪ জন বাসিন্দা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গত কাল সন্ধ্যায় আচমকা কয়েক জন কিশোর তাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে। চন্দন বাধা দেয়। কয়েক জন সে সময়ে তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাটিতে পড়ে মাথায় চোট পায় চন্দন। কাঠের ব্যাট দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়।
চন্দনের চিৎকারে জেলের নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসেন। চন্দনকে উদ্ধার করে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতে অবস্থার অবনতি হলে পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে আজ সকালে জেল সুপার আসেন। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেউর কিশোর সংশোধনাগারে ২৫ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ১৫ জন আছে। কী অবস্থায় এমন ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।