তিস্তায় নেই গতি, খোঁজ বিকল্পের

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামি মাসে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নতুন বিদেশসচিব বিজয় গোখলে। ঢাকার সঙ্গে যে উন্নয়নমুখী চুক্তিগুলি হয়েছে, ওই সফরে সেগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

নির্বাচনী উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য ঐকমত্যের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ। তবে তিস্তা চুক্তি এখনই করা না-গেলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারকে আরও বেশি সহায়তার জন্য ঝাঁপাতে চলেছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামি মাসে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন নতুন বিদেশসচিব বিজয় গোখলে। ঢাকার সঙ্গে যে উন্নয়নমুখী চুক্তিগুলি হয়েছে, ওই সফরে সেগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। রেল ও সড়ক যোগাযোগ এবং অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত অন্তত ৬টি প্রকল্প সময়সূচি মেনে বাস্তবায়িত করার কথা রয়েছে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির সঙ্গে বিলোনিয়া-ফেনি এবং সাব্রুম-চট্টগ্রাম রেললাইন তৈরিতে সমীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করেছে।

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আর কী পদক্ষেপ করা যায়, সে ব্যাপারে ঢাকার কাছে জানতে চাইবে নয়াদিল্লি। গত বছরের শেষে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ঘরে ফেরা রোহিঙ্গাদের উন্নয়নে একটি চুক্তিপত্রে সই করেছে ভারত। সেখানে আবাসন প্রকল্পগুলি দ্রুত শুরু করতে চাইছে দিল্লি। আর কোন ক্ষেত্রে সহায়তা দিলে বাংলাদেশের সুবিধা হয়, সেটি জানতে চাওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বৈঠকেও তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ ওঠে। মোদী হামিদকে জানান, তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরকার দায়বদ্ধ। তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলির মধ্যে ঐকমত্য দরকার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন