ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হিন্দু মেয়েদের স্পর্শ করলে সেই হাত আর থাকবে না! না, সিনেমার পর্দার কোনও ভিলেন নয়, এমন মন্তব্য করেছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্তকুমার হেগড়ে। তারপর থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তীব্র প্রতিবাদ ওঠে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নানা ভাবে ক্ষোভ দেখান ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ দেখিয়ে রীতিমতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তেহশিন পুনাওয়াল্লা নামের এক যুবক।
টুইটারে নিজের স্ত্রী মনিকার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তেহশিন লিখেছেন, “আমার হাত আমার জীবনকে ছুঁয়ে আছে, যে কি না হিন্দু। এ বার যা করার করে নিন...এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে পারেন।” তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয় টুইটটি ঘিরে। রাজনীতির রং লাগতেও দেরী হয়নি এই ঘটনার সঙ্গে।
২০১৬ সালে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বামী রবার্ট বঢরার তুতো বোন মনিকার সঙ্গে বিয়ে হয় তেহশিনের। তাঁদের বিয়েতে গাঁধী পরিবারও উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তেহশিনের টুইটটি লাইক করেন আম আদমি পার্টির নেত্রী অলকা লাম্বাও। শুধু তাই নয়, এই দম্পতিকে তাঁদের ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রের মায়ের প্রশ্নের উত্তরে মোদী জিজ্ঞেস করলেন, ‘পাবজিওয়ালারা কারা’?
তবে বিতর্কও ওঠে তেহশিনের এই টুইটটি নিয়ে। অনেকেই লেখেন যে, স্ত্রী বা বান্ধবীকে স্পর্শ করলে অসুবিধা নেই। কিন্তু তেহশিন নিশ্চয়ই চাইবেন না, অন্য যে কেউ তাঁদেরকে এই ভাবে স্পর্শ করুক। নিজের স্ত্রীকে রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যবহার করছেন তিনি, এই অভিযোগেও অনেকে সমালোচনা করেন তেহশিনের।
আরও পড়ুন: মিরজাফর, জয়চাঁদের মতো বিশ্বাসঘাতক আমির -নাসিরুদ্দিন! আক্রমণ আরএসএস নেতার