ছবি-টুইটার
ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস থেকে গোয়ার কারমালি, সুদূর সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার যাত্রায় রবিবার রাতেই ৩০ শতাংশ টিকিট বুক হয়ে গিয়েছে তেজস এক্সপ্রেসের। আজ সোমবার বিকেল ৩.২৫ মিনিটে সিএসটি থেকে রওনা দিল তেজস। প্রায় ন ঘণ্টার যাত্রায় মাত্র পাঁচটি স্টেশনে হল্ট করবে ট্রেনটি।
আরও পড়ুন- সেলেব্রিটি সেফদের রান্না, ওয়াইফাই, এলসিডি স্ক্রিন, সব থাকছে ভারতের এই ট্রেনে
এ যাবত্ ভারতীয় রেল যে সব সুপার ফেসিলিটি ট্রেন নিয়ে এসেছে, তার মধ্যে তেজস অন্যতম। এই ট্রেনটির প্রত্যেকটি জার্মান কোচ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। তেজসের এক একটি কোচ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩.২৫ কোটি টাকা। এলইডি স্ক্রিন, কফি মেশিন ও ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা, ধোঁয়া সনাক্তকারী যন্ত্র এবং ট্রেনের সব দরজাই থাকবে স্বয়ংসক্রিয়।
তবে, প্রায় ৯ ঘণ্টার তেজস সফরে যে ভাড়া যাত্রীদের গুনতে হবে, তা শতাব্দীর প্রাথমিক ভাড়া থেকে ২০ শতাংশ বেশি। ১৩টি কামরা বিশিষ্ট ট্রেনটিতে রয়েছে একটি এগজিকিউটিভ কোচ। এগজিকিউটিভ ক্লাসে ফুড ছাড়া ভাড়া হল ২৫৪০ টাকা। এবং ফুড নিয়ে সেই ভাড়া দাঁড়াবে ২৯৪০ টাকা। চেয়ার কারে খাবার নিয়ে ভাড়া ১৮৫০ টাকা এবং খাবার ছাড়া ১২২০ টাকা। অন্য দিকে, শতাব্দীতে যাত্রীভাড়া এগজিকিউটিভ ক্লাসে ২৩৯০ টাকা এবং চেয়ার কারে ১১৮৫ টাকা। এই দুই ভাড়াতে যাত্রীরা খাবারের সুবিধা পান।
তবে তেজসে ফুড ফেসিলিটিতে থাকছে বিশেষ চমক। এই ট্রেনে সফরের সময় মিলবে চা, কফি, স্ন্যাক্স-র সুবিধা। ফ্রি ম্যাগাজিন মিলবে। এ ছাড়াও বিনোদন এবং সেলেব্রিটি সেফদের তৈরি রান্নার ব্যবস্থা থাকবে। এমনকী আপনার পছন্দের স্থানীয় কোনও মেনুও পেয়ে যেতে পারেন। এই সব কিছু নিয়ে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলা তেজসকে বিমানের সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকেই।
নাম দিয়েছেন, “এয়ারোপ্লেন অন ট্র্যাক”।