তেজস্বী যাদব। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের নব নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চ কার্যত হয়ে উঠেছিল বিজেপি বিরোধী জোট-মঞ্চ। সে দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের ডাকসাইটে সব বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, অরবিন্দ কেজরীবাল, চন্দ্রবাবু নাইডু, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং আরও কত মুখ। আর সে দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নাকি রীতিমতো লজ্জিত লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। নিজেই টুইট করে জানালেন সে কথা।
কিন্তু, তিনি কেন লজ্জা পেলেন? তেজস্বীর দাবি, সে দিন তিনি লজ্জা পেয়েছিলেন বিহারের একজন নাগরিক হিসেবে।
তেজস্বী বলেছেন, ‘‘সে দিন আমাকে বেঙ্গালুরুর অনেকে বলেছিলেন, বিজেপি এ রাজ্যের একটিও কংগ্রেস বা জেডি(এস)-এর বিধায়ককে কিনতে পারেননি। কিন্তু, আপনার রাজ্য বিহারে তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। এ কথা শোনার পর আমার খারাপ লেগেছিল। খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। এক জন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়। লজ্জা পেয়েছিলাম বিহারের একজন নাগরিক হিসেবে।’’ নিজেই টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন লালু-পুত্র।
আরও পড়ুন: নোটবন্দিতে লাভটা কী হল আমজনতার? এ বার প্রশ্ন নীতীশেরও
তেজস্বীর এই টুইটের পর অবশ্য চুপ করে থাকেনি জেডি(ইউ)। স্বাভাবিক ভাবেই তেজস্বী তথা আরজেডিকে আক্রমণ করেছে নীতীশ কুমারের দল। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘বিহারবাসী হিসেবে সত্যিই লজ্জা পাই আমরা। এর কারণ, এ রাজ্যে আরজেডি-র শাসনকাল। মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় লালুপ্রসাদ যাদব যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছেন, তা আজও এক জন বিহারবাসী হিসেবে আমাদের লজ্জা দেয়। দুর্নীতির ফলে এখন জেলে থাকতে হচ্ছে লালুপ্রসাদকে।”
আরও পড়ুন: আগামী ২০ বছর আমিই দলের সভাপতি থাকব, ঘোষণা মায়াবতীর