মঙ্গলবার দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের কর্মসূচিতে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন রাহুল। ছবি: পিটিআই।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক অধিবেশনে এ দিন ভাষণ দিয়েছেন মোদী। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ছবি তুলে ধরেছেন তিনি। সে প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে এ দিন কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সভাপতি। ভারতের সম্পদের বণ্টনে বৈষম্য যে সাংঘাতিক ভাবে বাড়ছে, সে কথাও বলা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর— মন্তব্য বিরোধী দলের সভাপতির।
গতকালই সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অক্সফ্যাম-এর রিপোর্ট। তাতে জানানো হয়েছে, ভারতে ধনবৈষম্য বাড়ছে। অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলছে, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি হলেও তার সুফল সকলে পাচ্ছেন না। ধনী আরও ধনী হচ্ছেন, সম্পদের বণ্টনে অসাম্য আরও বাড়ছে। দেশের সম্পদের ৭৩ শতাংশই এখন দেশের মাত্র ১ শতাংশ নাগরিকের হাতে, বলছে রিপোর্ট।
মঙ্গলবার দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের কর্মসূচিতে নরেন্দ্র মোদী বিশেষ উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির খতিয়ান তুলে ধরেছেন মোদী। লাল ফিতের ফাঁস কাটিয়ে ভারত বাণিজ্যের জন্য লাল কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। ভারতে লগ্নি করার জন্য গোটা বিশ্বকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিক্ষিতরাও সন্ত্রাসে, উদ্বেগ মোদীর
আরও পড়ুন: ভারত কি ঝুঁকছে ইজরায়েলের দিকে? বিশেষজ্ঞেরা বললেন...
মোদীর ভাষণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন রাহুল। অক্সফ্যাম রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস সভাপতি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, সুইৎজারল্যান্ডে স্বাগত। দাভোসকে দয়া করে বলুন, ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের হাতে দেশের ৭৩ শতাংশ সম্পদ কেন জমছে?’’
বিজেপি’র তথা নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী স্লোগানই ছিল ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ অর্থাৎ ‘সবার পাশে থাকা, সবার উন্নয়ন ঘটানো’। কিন্তু অক্সফ্যাম রিপোর্টে ঠিক উল্টো ছবিই উঠে এসেছে। সবার উন্নয়ন নয়, একটি নির্দিষ্ট তথা মুষ্টিমেয় অংশের উন্নয়নের ছবি ধরা পড়েছে। সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি রাহুল। প্রধানমন্ত্রীর দিকে ছুড়ে দিয়েছেন শ্লেষ।
রাহুলের কটাক্ষের জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের টুইট, ‘‘রাহুলজি, দেশের ৭৩ শতাংশ সম্পদ যে আজ ১ শতাংশ মানুষের হাতে, তার জন্য দায়ী আপনার পূর্বসূরিদের অপদার্থতা, যাঁরা স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সময়টা দেশ শাসন করেছেন।’’