দু’দিনে দু’বার হানা কাশ্মীরে, উদ্বিগ্ন দিল্লি

থানার পরে এ বার সেনা ছাউনি। কাঠুয়ার থানায় হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জম্মুর সাম্বা এলাকায় সেনা ছাউনিতে হানা দিল জঙ্গিরা। ভারত-পাক সম্পর্কের বরফ সম্প্রতি কিছুটা গলেছে। কিন্তু দু’দিনে পর পর জঙ্গি হানায় নির্দিষ্ট ছক দেখছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৫ ০৩:১২
Share:

নিশানায় জঙ্গি। শনিবার জম্মুর মেসার সেনা ছাউনিতে সংঘর্ষ শুরুর পর। ছবি: পিটিআই।

থানার পরে এ বার সেনা ছাউনি। কাঠুয়ার থানায় হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জম্মুর সাম্বা এলাকায় সেনা ছাউনিতে হানা দিল জঙ্গিরা। ভারত-পাক সম্পর্কের বরফ সম্প্রতি কিছুটা গলেছে। কিন্তু দু’দিনে পর পর জঙ্গি হানায় নির্দিষ্ট ছক দেখছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

আজ ভোরে সাম্বার মেসারে সেনার ৮২ নং সাঁজোয়া রেজিমেন্টের ছাউনিতে হামলা চালায় দুই আত্মঘাতী জঙ্গি। গত কাল কাঠুয়ার রাজবাগ থানায় হামলার কায়দায় প্রথমে গ্রেনেড ছুড়ে পরে গুলিবর্ষণ করে তারা। খবর পেয়েই ওই এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষের পরে নিহত হয় দুই জঙ্গি। এক মেজর-সহ তিন সেনা ও এক তীর্থযাত্রী আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত তীর্থযাত্রী উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০-২৫ জন জঙ্গির একটি দল আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে বলে সম্প্রতি রিপোর্ট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই দুই হানায় জড়িতরা সেই দলেরই সদস্য বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন মন্ত্রকের কর্তারা। ওই জঙ্গিরা বৈষ্ণোদেবী যাত্রী, সেনা ছাউনি ও সরকারি ভবনের উপরে হামলা চালাবে বলেও জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আজকের ঘটনায় আহত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা তীর্থযাত্রী হওয়ায় জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু নিয়ে গোয়েন্দাদের ধারণা দৃঢ় হয়েছে।

Advertisement

মোদী সরকারের একাংশের মতে, ভারত-পাক সম্পর্কের স্রোত ফের পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চাইছে পাক মৌলবাদীরা। বেশ কিছুদিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কার্যত ঠান্ডা ঘরে থাকার পরে সম্প্রতি ইসলামাবাদ যান বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। কিন্তু পাকিস্তানের মৌলবাদী সংগঠন ও সে দেশের সেনা ও সরকারের একাংশ আবার আসরে নেমেছে। তারা কোনওভাবেই দু’দেশকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে দিতে চায় না। ফলে, ভূস্বর্গ ফের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।

আজ সংসদে বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর বলেন, “সেনা অভিযানের ফলে শত্রুপক্ষের মনোবল ভেঙে পড়ছে। তাই এই ধরনের হামলা চালিয়ে তাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।” এ বার জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে। নিয়ন্ত্রণরেখা রক্ষার দায়িত্ব সেনার হাতে থাকলেও আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ। পারিক্করের কথায়, “আন্তর্জাতিক সীমান্তে অনেক নালা রয়েছে। সেগুলি পাহারা দেওয়া কঠিন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন