প্রতীকী ছবি।
সন্দেহ হওয়ায় চেকপোস্টে গাড়িটাকে থামতে বলা হয়েছিল। সেনার দাবি, নির্দেশ না মেনে উল্টে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় ওই গাড়ি থেকে। তখনই পাল্টা গুলি চালায় সেনা।
সেনা সূত্রে দাবি, তাদের গুলিতে খতম হয় এক জঙ্গি। নিহত আরও তিন জনের পরিচয় তাদের কাছে জঙ্গি মদতদাতা। চার জনই ওই গাড়িটাতে ছিল। যদিও স্থানীয়দের দাবির সঙ্গে তা মিলছে না। তাদের মতে, সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে নিরীহ নাগরিকদের। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের পাহনু গ্রামে।
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গির নাম আমির আহমেদ মালিক। সে লস্কর-ই- তৈবার সদস্য। নিহত ওই জঙ্গির কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: তিনি সেনা অফিসার, অপরাধী নন, মেহবুবা সরকারকে সুপ্রিম ধমক
পাশাপাশি, সোমবার সকালে অন্য একটি গাড়ি থেকে এক ছাত্রের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। নিজের গাড়ির মধ্যেই মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মহারাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রকে। একই সঙ্গে সেনা আরও জানায়, পাহনুর ঘটনাস্থল থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে একটি ফলের বাগান থেকে আরও এক জঙ্গির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিকিমে বিমান নামাতে দিনেও চাই চড়া আলো
গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রীতিমতো কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই ঘটনার রেষ যাতে দ্রুত না ছড়ায়, তাই পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, কুলগ্রাম এবং সোপিয়ানে ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে সেনা। সেনা-জঙ্গি গুলি বিনিময় সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবরে টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। অন্য দিকে সেনাবাহিনী মিথ্যা কথা বলছে বলে টুইটে দাবি করেছেন ‘অল পার্টিস হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াজ ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: সেনার গুলিতে নিহত ৩, কাশ্মীরে বন্ধ ইন্টারনেট, জারি কার্ফু
গত জানুয়ারি মাসেই সেনার গুলিতে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছিল উপত্যকা। সোপিয়ানের গনভপোরা গ্রামের সেই ঘটনার পর সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না ফের বিতর্কে জড়াল সেনা।