গৌতম, সিদ্দেককে জঙ্গিদলের হুমকি

পৃথক বরাকের দাবি জানিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়, সিদ্দেক আহমেদ ও জামালউদ্দিন আহমেদকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণে’ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিল ‘বরাক লিবারেশন ফ্রন্ট’ (বিএলএফ) নামে একটি নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৩৬
Share:

পৃথক বরাকের দাবি জানিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়, সিদ্দেক আহমেদ ও জামালউদ্দিন আহমেদকে ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণে’ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিল ‘বরাক লিবারেশন ফ্রন্ট’ (বিএলএফ) নামে একটি নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিষয়ে কোনও তথ্য এত দিন করিমগঞ্জের গোয়েন্দাদের হাতে ছিল না। আজ জেলার এক সাংবাদিকের মোবাইলে কয়েকটি মেসেজ আসে। তাতে ওই জঙ্গি সংগঠনের ‘মিডিয়া সেলের’ সদস্য হিসেবে এক জন জানায়, ২০১৫ সালের অগস্ট মাসে বিএলএফ সংগঠনটি তৈরি করা হয়েছে। সেটির চেয়ারম্যান শাহিদ আহমেদ, সেনাধ্যক্ষ মেজর সুলতান আলি। সংগঠনটির সামাজিক কাজকর্মের দায়িত্বে রয়েছেন অরূপ দত্ত। সংগঠনে ১১৮ জন সদস্য রয়েছে। রয়েছে অস্ত্র ও বোমা বিশেষজ্ঞও। প্রতিবেশী কোনও রাষ্ট্র থেকে তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে।

বিএলএফ সংগঠনের বক্তব্য, বরাক উপত্যকা উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়, সিদ্দেক আহমেদ, জামালউদ্দিন আহমেদ। ওই নেতাদের থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যে কোনও সময় ওই নেতাদের বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। তাঁদের আশপাশে থাকলে প্রাণহানি হতে পারে। দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশকর্মীদের উপরও হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীন সিংহ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

স্বঘোষিত জঙ্গি সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতা দিবস পালনে তাদের আপত্তি নেই। কারণ তারা পৃথক বরাক রাষ্ট্র চায় না। চায় পৃথক রাজ্য। প্রাক্তন মন্ত্রীদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিদ্দেক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘বরাকে কয়েক বছর ধরে জঙ্গি তৎপরতা বাড়লেও, এ রকম হুমকি আগে কখনও আসেনি। পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক।’’ এ নিয়ে গৌতম ও জামালউদ্দিনের বক্তব্য জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন