পুলিশের আত্মীয়দের মুক্তি দিল জঙ্গিরা

এই মুহূর্তে জঙ্গি নিধনের উদ্দেশে কাশ্মীর জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী। বুধবার সোপিয়ানে এমনই একটি অভিযানে গিয়েছিল যৌথ বাহিনী। সেখানে জঙ্গিদের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবশেষে মুক্তি। দক্ষিণ কাশ্মীরের পাঁচ পুলিশকর্মীর ১১ জন অপহৃত আত্মীয়কে শুক্রবার রাতে মুক্তি দিল জঙ্গিরা।

Advertisement

এই মুহূর্তে জঙ্গি নিধনের উদ্দেশে কাশ্মীর জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী। বুধবার সোপিয়ানে এমনই একটি অভিযানে গিয়েছিল যৌথ বাহিনী। সেখানে জঙ্গিদের বাড়িতে তল্লাশির সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থলে চার পুলিশকর্মী নিহত হন। অভিযোগ, ওই ঘটনার পরে জঙ্গিদের ডেরায় হানা দিয়ে তাদের বেশ কিছু আত্মীয়কে তুলে আনে পুলিশ। সেই দলে ছিলেন হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ় নায়কুর বাবা আসাদুল্লা নায়কু।

পরের দিন অর্থাৎ গত কাল পাল্টা আক্রমণ করে জঙ্গিরা। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুলগাম, সোপিয়ান, পুলওয়ামায় পুলিশকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে ১১ জন আত্মীয়কে অপহরণ করে তারা। জঙ্গি পরিবারের সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ‘চোখের বদলে চোখ’— এই হুমকি দিয়ে পুলিশকে খোলা চ্যালেঞ্জ জানায় রিয়াজ়। এ দিকে অপহৃত আত্মীয়দের মুক্তি চেয়ে জঙ্গিদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন পুলিশকর্মীদের পরিবারও।

Advertisement

জোড়া চাপে নতি স্বীকার করে শুক্রবার সকালে জঙ্গিদের আত্মীয়দের ছেড়ে দেয় পুলিশ। মুক্তি দেওয়া হয় রিয়াজ়ের বাবাকে। সন্ধে নাগাদ পুলিশের অপহৃত আত্মীয়দের ছেড়ে দেয় জঙ্গিরাও। এর আগে বহু বার জঙ্গি পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক গতিবিধির অভিযোগ তুলেছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ। তবে একসঙ্গে এত জনকে গ্রেফতারির ঘটনা এই প্রথম। এই বিষয়ে পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ব্যাপক হারে গ্রেফতারির নির্দেশ উপর মহল থেকে দেওয়া হয়নি। কেন এ রকম ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন