National news

জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া ‘মোগলি’ ফিরে পেল তার পরিবার!

জঙ্গলে কাটানো ‘বাস্তবের মোগলি’ আসলে জঙ্গলবাসী নয়! কাল্পনিক মোগলির মতো পশু দলের মাঝেও সে বেড়ে ওঠেনি! সে মানসিক ভারসাম্যহীন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই বছর খানেক আগে যে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তার পর আর ফিরতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ২০:২৪
Share:

জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোগলি। —ফাইল চিত্র।

জঙ্গলে কাটানো ‘বাস্তবের মোগলি’ আসলে জঙ্গলবাসী নয়! কাল্পনিক মোগলির মতো পশু দলের মাঝেও সে বেড়ে ওঠেনি! সে মানসিক ভারসাম্যহীন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই বছর খানেক আগে যে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তার পর আর ফিরতে পারেনি।

Advertisement

‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে তার ছবি দেখে উত্তরপ্রদেশের বরাইচ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার ঠাকুরদা হামিদ আলি শাহ এবং কাকা ভুল্লার শাহ। দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে ঠাকুরদা হামিদ আলি শুনিয়েছেন তার হারিয়ে যাওয়ার কথা।

হামিদ আলি জানান, বরাইচের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা ওই শিশুটি আসলে উত্তরপ্রদেশের কামলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা ছয় বোন এবং এক ভাই। তার বয়স ৯ বছর। বাবা কর্মসূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন। যে জঙ্গল থেকে তাকে পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে কামলাপুরের দূরত্ব ২৮৫ কিলোমিটার। ২০১৬-র ২৮ মার্চ আচমকাই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। তার পর অনেক খুঁজেও তার খোঁজ মেলেনি। ওই দিনই বাদশাপুর পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল তার পরিবার। কিন্তু পুলিশও তার সন্ধান দিতে পারেনি।

Advertisement

‘জঙ্গল গার্ল মোগলি’ বলে শুক্রবার তার ছবি সংবাদমাধ্যমে বেরোয়। আগের থেকে অনেকটাই অমিল রয়েছে তার চেহারায়। শীর্ণকায়, অগোছালো চুল আর শরীরে অসংখ্য ক্ষত থাকা সত্ত্বেও পরিবারের ছোট্ট সদস্যকে চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি তাঁদের। তৎক্ষণাৎ খোঁজ খবর করতে শুরু করে দেন। রবিবার তার ঠাকুরদা আর কাকা পৌঁছে যান বরাইচ থানায়। থানা থেকে তাঁদের পাঠানো হয় হোমে। ওই হোমে ‘মোগলি’কে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি বরাইচে কাটারানিঘাট অরণ্য থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এক হনুমানের দলের মধ্যে তাকে পাওয়া গিয়েছিল। তার পর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে রাখা হয়। হাসপাতাল সূত্রেই বলা হয়েছিল, সে নাকি চার হাত-পায়ে হাঁটছে। ঠিকমতো খেতে পারছে না। মানুষ দেখলেই ভয়ে লুকিয়ে পড়ছে বা অদ্ভুদ ব্যবহার করছে। কোনও কথা বলছে না।

আরও পড়ুন: ‘র‌্যাঞ্চো’র ভূমিকায় বিপিন, ট্রেনেই প্রসব করাতে সাহায্য মেডিক্যাল ছাত্রের

এই সমস্ত তথ্যকে অবশ্য অস্বীকার করেছেন হামিদ জানান, কথা বলতে না পারা ছাড়া এমন কোনও ব্যবহার সে করে না। হামিদ আলির অভিযোগ, ঘাড়ে চাপ না নেওয়ার জন্যই এ সব বানিয়ে বলা হয়েছে। কারণ, পুলিশ চাইলেই তার পরিবারের সন্ধান করতে পারত। কিন্তু ‘মোগলি’ বলে চালিয়ে দিলে সে সব ঝক্কি আর নিতে হয় না।

হারিয়ে যাওয়া নাতনিকে ফিরে পেয়েছেন হামিদ। হারিয়ে যাওয়া ভাইঝিকে ফিরে পেলেন কাকা ভুল্লার। তবে ‘মোগলি’ কবে তার হারিয়ে যাওয়া বাড়ি ফিরে পারে তা এখনও জানা যায়নি। সমস্ত তথ্য প্রমাণ দিয়ে হোম থেকে তাকে বাড়ি ফেরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন হামিদরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন