পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
অসমে একটি রাজনৈতিক দলের দ্রুত উত্থান নিয়ে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়তের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই আসরে নামল ভারতীয় সেনা। সেনা জানিয়েছে, জেনারেল রাওয়তের মন্তব্য কোনও রাজনৈতিক ভাষ্য নয়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যেও ওই মন্তব্য করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সেনার দাবি, “ওই মন্তব্যে কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় ভাষ্যের ছাপ নেই। ২১ ফেব্রুয়ারি ডিআরডিও ভবনে আয়োজিত ওই সেমিনারে সেনাপ্রধান শুধুমাত্র সকলের সঙ্গে মিলেমিশে উন্নয়নের কথাই বলতে চেয়েছেন।”
সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মীদের একটি সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ভাষণ দেন জেনারেল রাওয়ত। নিজের ভাষণে অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা অতি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে ওই তথ্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, সেনাপ্রধানের দাবি ছিল, আটের দশকে বিজেপি-র বৃদ্ধির থেকেও দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ (অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট)-এর। অসমে মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষার নামে ২০০৫-এ ওই দল গঠিত হয়েছিল। নিজের ভাষণে সেনাপ্রধান উল্লেখ করেছিলেন, ১৯৮৪-র লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ২টি আসন জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু, জন্মলগ্নের পর থেকে এআইইউডিএফ থেকে এখনও পর্যন্ত লোকসভায় গিয়েছেন ৩ জন। অন্য দিকে, অসম বিধানসভায় তাদের বিধায়ক সংখ্যা ১৩। ওই পরিসংখ্যান জানিয়ে সেনাপ্রধানের দাবি, “গত কয়েক বছরে অসমে বিজেপি-র থেকেও দ্রুত বেড়েছে এআইইউডিএফ।”
আরও পড়ুন: দুই পড়শি দেশের মদতেই অনুপ্রবেশ উত্তর-পূর্বে, সরব সেনাপ্রধান রাওয়ত
আরও পড়ুন: ‘নীরব মোদীকে সামনে পেলে জুতোপেটা করব’
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
এর পরেই সেনাপ্রধানের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। এ দিনের বিবৃতি সত্ত্বেও সেনার দাবি মানতে নারাজ রাজনৈতিক শিবির। যে দলকে ঘিরে সেনাপ্রধানের ওই মন্তব্য সেই এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল টুইটারে দাবি করেন, “জেনারেল বিপিন রাওয়ত একটি রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন। শকিং! গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শ থেকে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল বিজেপি-র থেকে দ্রুত হারে বাড়লে তা নিয়ে এক জন সেনাপ্রধানের মাথাব্যথা কেন হবে?” বদরুদ্দিনের আরও দাবি, “বড় বড় রাজনৈতিক দলের অপশাসনের ফলেই আপ বা এআইইউডিএফ-এর মতো বিকল্প দলের বাড়বাড়ন্ত।”