প্রতীকী ছবি।
হুইলচেয়ার, ব্রেল টাইপরাইটার, কানে শোনার যন্ত্রে ৫% জিএসটি বসানোয় এ সবের দাম বাড়বে বলে যে অভিযোগ রাহুল গাঁধী করছেন, কেন্দ্র তা খণ্ডন করল মঙ্গলবার।
মোদী সরকারকে প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে ‘অসংবেদনশীল’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস সহ-সভাপতি দাবি করেন, এই বর্ধিত কর প্রত্যাহার করতে হবে। অর্থ মন্ত্রক আজ পাল্টা দাবি করল, প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয় ওই সরঞ্জামকে জিএসটি-র আওতায় আনায় সেগুলির দাম কমবে। দেশে যে-সব সংস্থা এই সব তৈরি করে, তারাও লাভবান হবে। দাম কমবে কী ভাবে, কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আঢিয়া তার ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেন, প্রতিবন্ধীদের সরঞ্জামের কাঁচামালের উপরে অনেক ক্ষেত্রেই ১৮% কর রয়েছে। সেগুলি জিএসটি-র আওতায় এনে মাত্র ৫ শতাংশ কর চাপানোয় কাঁচামালে মেটানো কর খাতে তার থেকে বেশি ফেরত মিলবে। ফলে দাম আগের তুলনায় কমে যাবে। সরঞ্জামগুলিকে জিএসটি-র বাইরে রাখা হলে কাঁচামালের উপরে মেটানো কর ফেরত মিলত না। ফলে খরচ ও দাম বেড়ে যেত এই সব সরঞ্জামের।
সে ক্ষেত্রে এগুলিকে জিএসটি-র আওতায় এনে করের হার কেন শূন্য রাখা হল না? রাজস্ব সচিবের দাবি, তাতে প্রতিবন্ধীদের জন্য আমদানি করা সরঞ্জামে কর বসত না। ফলে সেগুলি সস্তায় মিলত। মার খেতেন স্থানীয় উৎপাদকেরা।